নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শান্তিচুক্তির আলোচনা থাকলেও কেন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এমন বিদ্রোহ করল, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার সকালে সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাসেকের দুটি প্রকল্পের আওতাভুক্ত রেল ওভারপাস, ওভারপাস ও একটি সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র তৎপরতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড়ে যৌথ অভিযান চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা, এখানে গোটা পাহাড় অশান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। চীন ও ভারত সীমান্তের কাছে চীন স্টেট নামে একটা স্টেট আছে। ওখানে কেএনএফের একটি ঘাঁটি আছে বলে মনে করা হয়। তাদের সাথে আগে আলোচনা হলেও, কেন তারা বিদ্রোহ করল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি বাইরের কারও সাপোর্ট থাকে—ইউপিডিএফ, সন্তু লারমার জনসংহতি সমিতি বললে আলাদা কথা। এই ক্ষুদ্র বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীকে কে সমর্থন দেবে? সংক্ষুব্ধ হয়ে তারা এটি করতে পারে।’
মিজোরামের বম জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা থাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মিজোরামের সঙ্গে সম্পর্ক আছে কি না, ঠিক জানি না। তবে সীমান্ত থেকে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন এদের মদদ দেবে, এটা আমরা মনে করি না। এখন তদন্ত চলছে, সব সত্যই বেরিয়ে আসবে।’
এদিকে সড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও যানজট থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কে নির্মিত একটি রেলওভারপাস, সাতটি ওভারপাস ও একটি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
এদিন একই সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের টোলপ্লাজার সব লেনে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন-ইটিসি কার্যক্রম চালুসহ মেঘনা সেতু টোল প্লাজা-২-এর উদ্বোধন করেন সেতুমন্ত্রী।