হোম > জাতীয়

এক দশকে পাট রপ্তানিতে আয় ১০ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা: সংসদে পাটমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১৩-১৪ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ১০ বছরে (এক দশক) পাট রপ্তানিতে ১০ হাজার ৪৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। 

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নোয়াখালী-২ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। 

১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট ১৯.০৭ লাখ মেট্রিকটন রপ্তানি হয়েছে জানিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ব্রাজিল, ইউকে, জিবুতি, ভিয়েতনাম, অস্ট্রিয়া, ইউ এস এ, স্পেন, জার্মানি, মেক্সিকো, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, জাপান, কোরিয়া, তুর্কি, ইন্দোনেশিয়া, বেলজিয়াম, তিউনিসিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা, সিঙ্গাপুরসহ ১৩৫টি দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। এ সময়ে পাট রপ্তানি বাবদ ১০ হাজার ৪৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে। 

ঢাকা-৮ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ১২ লাখ ৯ হাজার ২৬ মেট্রিকটন কাঁচাপাট এবং দুই হাজার ১৬৪ দশমিক ১২১ মেট্রিকটন পাটবীজ উৎপাদন করা হয়েছে। 

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেলের এক প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের স্থানীয় বাজারে বস্ত্রের চাহিদার পরিমাণ প্রায় ৭০০ কোটি মিটার। দেশের স্থানীয় বাজারে বস্ত্রের চাহিদার ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুযায়ী পুরোটাই দেশে উৎপাদিত হয়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ওভেন এবং ডেনিম বস্ত্রের চাহিদা প্রায় আট বিলিয়ন মিটার। এর মধ্যে প্রায় ৪০০ কোটি মিটার দেশে উৎপাদিত হয় এবং প্রায় ৪০০ কোটি মিটার আমদানি করা হয়। তবে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নিট সুতার চাহিদা প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে প্রায় ১২ লাখ মেট্রিকটন সুতা দেশে উৎপাদিত হয় এবং প্রায় চার লাখ মেট্রিক টন ঘাটতি রয়েছে, যা আমদানি করা হয়। ঘাটতি (ওভেন ও ডেনিম বস্ত্রের) পূরণের জন্য প্রধানত চীন ও ভারত থেকে আমদানি করা হয়। 

তিনি বলেন, শিল্প উদ্যোক্তাগণ দেশে নতুন নতুন বস্ত্র ও সুতা উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করছে। ফলে তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য ওভেন ও ডেনিম বস্ত্রের ঘাটতি ক্রমান্বয়ে কমে আসবে। 

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ নাথের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে বিজেএমসির ২৫টি মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। উৎপাদনকৃত ২০টি মিল ইজারার ভিত্তিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পুনরায় চালুর সরকারি সিদ্ধান্তে ১৪টি মিলের লিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে সাতটি মিল ইতিমধ্যে পাটজাত পণ্য উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যার মধ্যে কিছু কিছু মিল তাঁদের পাটজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করেছে। 

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পাটজাত পণ্য হেসিয়ান, সেকিং, সিবিসি এবং ইয়ার্ণ টুয়াইন রপ্তানি করা হচ্ছে। তাছাড়া ২৮২ ধরনের বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। পাটের ব্যাগ ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫৩ নং আইন) প্রণীত হয়েছে। আইনের অধীনে ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুষ-খুদ-কুড়া, পোলট্রি ও ফিসফিড মোড়কীকরণে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

নবীন উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের পাকিস্তান সফর, প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সরানো হলো পরিচালক মনিরুজ্জামানকে

গত বছর ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৬১ শতাংশই নারী: জরিপ

পাঁচ মাসে মাজার-দরগায় ৪৪ হামলা: প্রেস উইং

বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার

লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না হুমায়ুনের

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে মতামত দিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ৬ দিন সময়

সস্তায় বিক্রি হচ্ছে শৈশব

সেকশন