হোম > জাতীয়

এ বছর ১০ লাখ কর্মী বিদেশ যাবে: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২২ সালে ১০ লাখ কর্মী বিদেশ যাবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। আজ বুধবার সন্ধ্যায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। 

মতবিনিময় সভায় ইমরান আহমেদ বলেন, ‘প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ কর্মী বিদেশ যায়। এর মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ হাজার কর্মী সৌদি আরব যাচ্ছে। কিন্তু সাংবাদিকেরা সেটা লিখছেন না।’ তিনি বলেন, ‘গত দুই মাসে ১ লাখ ৭০ হাজার ভিসা ইস্যু করেছে ঢাকায় সৌদি দূতাবাস। প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার ভিসা ইস্যু করেছে দেশটি। কর্মীদের প্রশিক্ষণের যে গতিতে আমরা ছিলাম, করোনা এসে সেটিতে বাধার সৃষ্টি করেছে। প্রবাসে নারী কর্মী নির্যাতনের কিছু ঘটনা ঠিক, আবার কিছু ঘটনা বেঠিক আছে।’ 

প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়াসহ বন্ধ থাকা মার্কেটগুলো খুলতে সবাই বলছে। কিন্তু কীভাবে এটি করা হবে ও দেশের কী লাভ হবে, সেটা কিন্তু কেউ বলছে না। অনেক কিছুর সঙ্গেই আমি একমত। তবে দেশের স্বার্থের দিকটাও তো বিবেচনা করতে হবে। শ্রীলঙ্কা ও নেপাল; তারা তাদের কর্মীদের অর্থ পাঠানোর কথা বলছেন। আমরা কিন্তু সেটা বলছি না। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের কর্মীরা দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন।’ 

সভায় বিদেশে কর্মী পাঠাতে এখন দক্ষতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। 

ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশন হলে অভিবাসন খাতে আরও স্বচ্ছতা ফিরে আসবে। গত ২০ বছর এই খাতটি যেভাবে ছিল, এখন আর সেটি নেই। ভবিষ্যতে যারাই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসবেন, এখনকার এই অবস্থা থেকে যেন আর পেছনে ফিরে যেতে না হয়, সে জন্য প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের দিকে নজর দিতে হবে।’ 

অভিবাসন নিয়ে গবেষণা সংস্থা রামরুর সিআর আবরার বলেন, ‘অভিবাসন খাতে আমরা কঠিন সময় পার করেছি। টিটিসিগুলোকে বৈশ্বিকভাবে তুলনা করে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। টুরিজম ও হসপিটালিটির ক্ষেত্রেও নজর দিতে হবে।’ 

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা (আইওএম) বাংলাদেশের ডেপুটি চিফ অব মিশন ফাতিমা নুসরাত গাজ্জালী বলেন, ‘বিশেষ করে রেমিট্যান্স প্রবাহটা যেমন আমরা দেখছি, একইভাবে বাংলাদেশের অভিবাসন ক্ষেত্রটাও দেখতে হবে।’ 

এ সময় অন্য অংশীজনেরা তাঁদের বক্তব্যে মালয়েশিয়া ও লিবিয়ার শ্রমবাজারে পুনরায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণের ওপর জোর দেন। এ ছাড়া রোমানিয়ার শ্রমবাজার নিয়েও তাঁরা আশা প্রকাশ করেন এবং কর্মীদের সংখ্যার মধ্যে আটকে না রেখে দেশের সম্পদ হিসেবে দেখার আহ্বান জানান। 

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধি লেটেশিয়া ওয়েবেল বলেন, শ্রমিকদের জন্য নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। যাতে করে তাঁরা তাঁদের পূর্ণ দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে। 

মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেশন প্রধান, আইওএম, আইএলও, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন অংশীজন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

সব রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির নির্দেশনা

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল

‘জুলাই যোদ্ধা’ শনাক্তে এবার গোয়েন্দা তদন্ত

সচিবালয়ের ১৪ কর্মচারী বরখাস্ত

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে ফের উত্তাপ

সাংবাদিক আনিস আলমগীরের মুক্তি চায় অ্যামনেস্টি

জিয়াউলের বিরুদ্ধে শতাধিক ব্যক্তিকে গুম-খুনের অভিযোগ আমলে নিলেন ট্রাইব্যুনাল

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

৮ ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে অর্ধশত কোটি টাকা লুট