নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুলিশ বাহিনীর সংস্কারসহ তাদের পোশাক পরিবর্তনের দাবি ওঠে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর পোশাক পরিবর্তন হচ্ছে। পোশাক নির্বাচনে এবার প্রাথমিকভাবে সম্পূর্ণ কালো রঙের পরিবর্তে ‘গ্রিন অলিভ’ রঙের পোশাক পাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নতুন পোশাকের অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানে ১৮টি পোশাক পরিহিত পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্য বৈঠকে পোশাক নির্বাচনের মডেল হিসেবে অংশ নেন। সেখান থেকেই প্রাথমিকভাবে পোশাক নির্বাচন বা চিহ্নিত হয়।
এর আগে পুলিশের এই এলিট ফোর্সের মোটামুটি সবকিছুই কালো রঙের ছিল। পোশাক মনোগ্রাম, গাড়ি এমনকি র্যাবের অফিসগুলোর আসবাবপত্রও তবে সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বলছে, পোশাকের সঙ্গে বাহিনীর সদস্যের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনের খুব বেশি সম্পর্ক নেই। পোশাকের আগে মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ জরুরি ছিল তাদের।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সাত দিন পুলিশকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এরই মধ্যে বাহিনীটিকে সচল করতে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পুলিশের যেসব সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, তার অন্যতম পোশাক পরিবর্তনের উদ্যোগ।
২০০৯ সালের বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে ২০১১ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সেই সময় বাহিনীর মনোগ্রাম এবং পোশাকেও পরিবর্তন আনা হয়েছিল।
বিজিবি একটি আধাসামরিক বাহিনী। অন্যদিকে, ২০০৪ সালে পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করে তৎকালীন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। ওই বছরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এলিট ফোর্স র্যাবের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই ইউনিটের সদস্য সংখ্যা ১১ হাজারের মতো।