আগামী মে ও জুনে অনুষ্ঠেয় পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা।
আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এসব নির্বাচনে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানিয়েছেন রাশেদা সুলতানা।
রাশেদা সুলতানা বলেন, পাঁচ সিটি নির্বাচনে আমরা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব। ভোট গ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এখনো রয়েছে। তবে সামনে কী হবে তা এখনই বলতে পারব না। তবে আমাদের ইচ্ছা আছে।
দাতা সংস্থাগুলোর কোনো সহায়তা জাতীয় নির্বাচনে নেবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সে রকম যদি হয়, আমাদের তো নিতে অসুবিধা নেই। তবে কে কী দেবে বা কীভাবে হবে সেটা আগে দেখতে হবে।’
নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরানোর বিষয়ে রাশেদা সুলতানা জানান, আস্থার ব্যাপারটি মানসিক। কে কীভাবে নেবে তা কমিশন জানে না। তিনি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এমন কোনো কাজ করিনি যে কেউ আস্থায় আসবে না। আমরা গাইবান্ধার উপনির্বাচনে সে প্রমাণ দিয়েছি।’
এ সময় রাশেদা সুলতানা জানান, অনিয়ম হলে গাইবান্ধার উপনির্বাচনের মতো জাতীয় নির্বাচনও বাতিল করে দেওয়া হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের একটাই মেসেজ—জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে কোনো রকম বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারবেন, আমরা সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। গাইবান্ধার উপনির্বাচনে যেমন ভোট বন্ধ করে দিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনেও অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেব।’
২০২২ সালের ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণের পর সিইসি প্রথমে ৫০টি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেন। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তাও একটি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেন। পরে ভোট গ্রহণের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। এরপর গঠিত তদন্ত কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পায় ওই ৫১ কেন্দ্রে। এ ছাড়া অবশিষ্ট কেন্দ্রগুলোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেও অনিয়মের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি।