হোম > জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি রোহিঙ্গা নেওয়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন সাক্ষাৎ করতে এলে উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদান ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই নেতৃত্বের ভূমিকায় রয়েছে। তারা ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে পুনর্বাসন করেছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি করে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের আহ্বান জানান।

জবাবে শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জানান, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উন্নয়ন ও পুনর্বাসনে বৃহত্তম দাতা। যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি বাংলাদেশের স্থানীয় এনজিওদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে প্রায় ১৭ হাজার রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করেছে এবং এটি চলমান।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ইস্যু, সন্ত্রাস দমন, রোহিঙ্গা সমস্যা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পারস্পরিক সহযোগিতা, পুলিশ সংস্কার কমিশন, সীমান্ত পরিস্থিতি, সংখ্যালঘু ইস্যু, কৃষি খাতে সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে স্বাগত জানিয়ে মানবাধিকার ইস্যুতে পুলিশ এবং মানবপাচার ইস্যুতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে আরও বেশি হারে প্রশিক্ষণ দেওয়ার অনুরোধ করেন।

বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা অব্যাহত থাকার অঙ্গীকার জানিয়ে শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে পারস্পরিক তথ্য বিনিময় ও এ সংক্রান্ত ডেটাবেইস আপডেটের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে। আগামী মাসে এ বিষয়ে ভারতের দিল্লিতে দুই দেশের মধ্যে বিজিবি–বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

সংখ্যালঘু নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতিত হচ্ছে না। এটা ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচার। সংখ্যালঘু শব্দটা আমরা ব্যবহার করতে চাই না। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক ও সবার সমান অধিকার রয়েছে। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ৫ আগস্টের পর যে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে সেটি মূলত রাজনৈতিক কারণে, ধর্মীয় কারণে নয়।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রেসিডেন্ট লিগ্যাল অ্যাডভাইজার রাহুল কাল, ল’ এনফোর্সমেন্ট অ্যাটাচে মাইকেল ডব্লিউ হিন্টজ, পলিটিক্যাল মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স অফিসার জশ পোপ, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিজওনাল সিকিউরিটি অফিসার স্টিফেন কোভাকস–সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে পদত্যাগ করে যা বললেন সারজিস

নেতৃত্বশূন্য সংগঠন, প্রশাসকে অস্বস্তি

শুধু বৈদ্যুতিক সরঞ্জামে খরচ ৭৩ কোটি টাকা

রুশ কোম্পানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, আসছে না পুলিশের হেলিকপ্টার

প্রাথমিক শিক্ষকেরই প্রাপ্য সর্বোচ্চ সম্মান

এক স্থানের জনপ্রতিনিধি কীভাবে গোটা জাতির আইন প্রণয়ন করেন: সলিমুল্লাহ খান

ট্রাম্পের প্রথম দিনের আদেশ: বাংলাদেশের কিছু স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে

ইউনূস-শলৎস বৈঠক: গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সহায়তা করবে জার্মানি

১১ বছর ধরে লাশ হাসপাতালের হিমঘরে, বিচারিক আদালতের রায় বাতিলে হাইকোর্টের রুল

শিশু আইনের বিধান অনুযায়ী শিশুরা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না

সেকশন