খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জডদের সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তাঁরা আমাদের কোনো বোঝা না। তাঁদের নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। তাঁদেরও আমরা আমাদের একজন মনে করি। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা।’
আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ‘বঙ্গবন্ধু চার জাতি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
খেলার মধ্যে দিয়ে ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জডদের খেলার প্রতি একান্ত আগ্রহ, শক্তি এবং মেধা প্রকাশ পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাঁরা তো আমাদেরই সন্তান। তাঁদের আমাদের সব রকম সহযোগিতা করতে হবে। এ কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে। তাঁরাই আমাদের বেশি সম্মান নিয়ে আসে। অন্য খেলাধুলায়ও বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি।’
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড খেলোয়াড়দের সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড যারা তাঁরাই কিন্তু সব থেকে বেশি স্বর্ণ বিজয় করেছেন বাংলাদেশের জন্য। কারণ ২১৬টা স্বর্ণসহ অনেক ট্রফি বাংলাদেশের জন্য নিয়ে এসেছেন। আমাদের সুস্থ যারা তাঁরা কিন্তু এটা পারেনি। পেরেছে কারা, আমাদের যারা ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড। তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন।’
বিত্তবানদের ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চাকরি খাতে ১ শতাংশ কোটা আছে। কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড মানুষকে চাকরি দিলে তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।’
খেলাধুলার প্রসারে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি বিভাগীয় শহরে আমরা বিকেএসপি করে দিচ্ছি। শুধু রাজধানী কেন্দ্রিক না, আটটা বিভাগে আটটা বিকেএসপি হবে। পাশাপাশি সমস্ত উপজেলায় একটা করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। মিনি স্টেডিয়ামটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’
খেলাধুলার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার পরিবারের সবাই খেলাধুলার সঙ্গে খুবই জড়িত এবং আন্তরিক ছিল। মা নিজে উৎসাহ দিতেন খেলাধুলায়।’
আজ কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে এ টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে টুর্নামেন্টের পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।