নেপালের ইমিগ্রেশন বিভাগ পাচারের শিকার ৬ বাংলাদেশিকে কাঠমান্ডুর একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করেছে। আজ মঙ্গলবার তাঁদের উদ্ধার করা হয়। তাঁদের নেপাল ইমিগ্রেশন সেন্টারে নেওয়া হয়েছে।
উদ্ধারকৃতরা হলেন—হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার তুহিনুর ইসলাম অনিক, একই উপজেলার শাকিব আহাম্মেদ, মো. রহিম খন্দকার এবং গোপালগঞ্জের রিয়ান, দুলাল মুন্সি ও সম্রাট।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন অ্যান্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ‘গত শনিবার ওই ছয়জনের পরিবারের সদস্যরা ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারে যোগাযোগ করেন। তাঁরা জানান, আলবেনিয়ায় পাঠানোর কথা বলে জনপ্রতি সাড়ে সাত লাখ টাকা করে নেওয়া হয়। কথা ছিল নেপাল হয়ে তাঁদের আলবেনিয়া নেওয়া হবে। কিন্তু আলবেনিয়ার ভিসা জাল ছিল। গত ৫ মাস ওই ছয়জনকে নেপালের কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে আটকে রাখে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা।’
শরিফুল হাসান আরও বলেন, ‘ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাপক আল আমিন নয়ন তাঁর মানবপাচার বিরোধী কাজের জন্য এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টিআইপি হিরো সম্মান পেয়েছেন। নয়ন নেপালের ছয় বাংলাদেশিকে পাচারের ঘটনা টিআইপি হিরো নেটওয়ার্কে জানান। এ ছাড়া বিষয়টি ইউএসএআইডি নেপালকে জানানো হয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে হোটেল থেকে ভিকটিমদের উদ্ধার করে নেপাল ইমিগ্রেশন বিভাগ। এছাড়া এই ঘটনায় দিসান নামে এক দালালকে আটক করেছে নেপাল।’
উদ্ধার বাংলাদেশিদের কাগজপত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সি অ্যাডমায়ার ও খান ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনাল তাঁদের নেপালে পাঠায়। নেপাল পুলিশ এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজছে।