জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের বিবৃতির কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকার। সরকার মনে করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বাংলাদেশের নির্বাচনের বাস্তবতাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে।
রোববার এক বিবৃতিতে সরকারের এই অভিমতের কথা জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হাইকমিশনারের বক্তব্যে মানবাধিকারকে রাজনীতিকরণের মাধ্যমে পক্ষপাতমূলক ও পূর্বপরিকল্পিত দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে।
হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে গত ৮ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে বলেন, সহিংসতা ও বিরোধী প্রার্থী ও সমর্থকদের দমন ও নিপীড়নের কারণে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি এসব ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘন ও অনিয়মের পুঙ্খানুপুঙ্খ ও কার্যকর তদন্তের জন্য আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, গণতান্ত্রিক নীতি সমুন্নত রাখতে সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে স্পষ্ট হয়েছে। মাঠ পর্যায় থেকে পাওয়া অনেক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের তথ্য অনুযায়ী, কিছু ভোটকেন্দ্রে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচনের দিনটি শান্তিপূর্ণ ছিল।
মন্ত্রণালয় বলছে, গণগ্রেপ্তার, হুমকি, গুম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা ব্ল্যাকমেল করা ও নজরদারির বিষয়ে হাইকমিশনারের অভিযোগ প্রমাণিত নয়, বরং ভিত্তিহীন।
এ ছাড়া, মানবাধিকারকর্মীদের আত্মগোপনে যেতে বাধ্য করা, দেশ ছেড়ে পালানো ও গুমের দাবি নাকচ করে দিয়ে মন্ত্রণালয় বলছে, এসব দাবি বাস্তবতাবর্জিত ও হাইকমিশনারের কার্যালয়ের দায়িত্বহীনতার দৃষ্টান্ত।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার কার্যালয়ের যেকোনো উদ্বেগের সমাধান করতে সরকার সব সময় প্রস্তুত বলে দাবি করেছে মন্ত্রণালয়।