আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দেশের বিভিন্ন জেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, মন্দিরের জায়গা দখল, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। গতকাল সোমবার বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সমাবেশ করে এর প্রতিবাদ জানানো হয়। এসব কর্মসূচি থেকে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করাসহ আট দফা দাবি জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সেই সঙ্গে বলা হয়, হামলার বিচার না হলে আন্দোলন চলবে।
গতকাল সকালে মিছিল নিয়ে গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় কালীবাড়িতে জড়ো হতে থাকেন হাজার হাজার প্রতিবাদকারী নারী-পুরুষ। দুপুর ১২টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন তাঁরা। কর্মসূচিতে জেলার পাঁচটি উপজেলার সব উপাসনালয় ও ধর্মীয় সংগঠনের হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
আট দফা দাবিতে ঝালকাঠি শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। ‘সচেতন হিন্দুসমাজের’ ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে জেলায় বসবাসকারী সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ অংশ নেন।
রাঙামাটি পৌরসভা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে নিউমার্কেট চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের উপজেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি আইনজীবী নাথুরাম ভৌমিক প্রমুখ।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে রাজশাহী কোর্ট শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন হয়েছে।
গতকাল সকাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সেখান থেকে মিছিল বের হয়ে দক্ষিণ কালীবাড়িতে যায়। পরে আনন্দময়ী কালীবাড়িতে সমাবেশ হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্য দাবিগুলো হলো—সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের বাস্তবায়ন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ করা; সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিনের ছুটি।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী এবং রাঙামাটি, ঝালকাঠি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গোপালগঞ্জ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী), কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি]