Ajker Patrika
হোম > জাতীয়

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্র্যাক ও ডেনমার্ক দূতাবাসের চুক্তি

অনলাইন ডেস্ক

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্র্যাক ও ডেনমার্ক দূতাবাসের চুক্তি
‘রেইন ফর লাইফ’ শীর্ষক নতুন কর্মসূচি চালুর বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এবং ঢাকার রয়্যাল ড্যানিশ দূতাবাস। ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এবং ঢাকার রয়্যাল ড্যানিশ দূতাবাসের মধ্যে ‘রেইন ফর লাইফ’—শীর্ষক নতুন কর্মসূচি চালুর বিষয়ে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার ও ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ আনুষ্ঠানিকভাবে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ঢাকার ডেনমার্ক দূতাবাসে আজ বৃহস্পতিবার এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ডেনমার্ক সরকারের ২০২২ থেকে ২০২৮ সালের কৌশলগত কাঠামোর আওতায় পরিচালিত এই দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতামূলক প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রকল্পের মোট তহবিল প্রায় ৬৪ কোটি টাকা (৩৮ মিলিয়ন ড্যানিশ ক্রোনার)। প্রকল্পটি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রকৃতি বান্ধব পদ্ধতিতে সমন্বিত কৃষি ও পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাসে কাজ করবে। এই প্রকল্প জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার পাশাপাশি পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষাতেও সহায়ক হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন—জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক ড.  মো. লিয়াকত আলী, গ্লোবাল রিসোর্স মোবিলাইজেশন এবং পার্টনারশিপের পরিচালক মাফরুজা খান ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির কর্মসূচি প্রধান আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান। ডেনমার্ক দূতাবাসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা বিটালি তাসকিন ইসলাম ও কর্মসূচি উপদেষ্টা সাঈদ মতিউল আহসান।

‘রেইন ফর লাইফ’—প্রকল্পটি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর চাহিদা এবং মোংলা উপজেলায় ড্যানিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (ড্যানিডা) অর্থায়নে ব্র্যাক পরিচালিত বৃষ্টির পানি সংগ্রহ প্রকল্পের অভিজ্ঞতার আলোকে সাজানো হয়েছে। ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ এই প্রকল্পটি আশাশুনি, মোংলা ও পাথরঘাটা উপজেলার জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতির শিকার ৩০ শতাংশ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

প্রকল্পটি চারটি বিষয়ে প্রাধান্য দেবে। প্রথমত—জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলীয় এলাকার জনগোষ্ঠীর জন্য পানীয় জলের সংকট মোকাবিলা। দ্বিতীয়ত—কৃষকদের ফসল, মাছ এবং পশু পালনসহ সার্বিক কৃষি উৎপাদনে জলবায়ু পরিবর্তনে সহনশীল পদ্ধতি গ্রহণে সক্ষম করে তোলা। তৃতীয়ত—জৈববৈচিত্র্য ও প্রকৃতি সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশগত স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি এবং চতুর্থত—জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পানির প্রাপ্যতা বিষয়ে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা।

‘রেইন ফর লাইফ’ প্রকল্পটি জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডেনমার্ক এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারত্বের উদাহরণ, যা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই ও স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়তে কাজ করবে।

৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা: প্রশ্ন ফাঁসের খবর ভিত্তিহীন, বিভ্রান্ত না হতে পিএসসির অনুরোধ

বিয়ের মাধ্যমে মানুষ পাপাচার থেকে বেঁচে থাকতে পারে: ধর্ম উপদেষ্টা

বগুড়া ও ফেনীতে আইসিটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার করার উদ্যোগ

বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িতদের প্রধান উপদেষ্টার ধন্যবাদ

বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের অধীনস্থ করার প্রস্তাব

সংবাদপত্রের মানোন্নয়নে টাস্কফোর্স গঠন করবে সরকার: তথ্য উপদেষ্টা

৩৩ বছরে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়েছেন কারা, জানতে চান হাইকোর্ট

আইজিপির সঙ্গে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঢাকায় ইইউভুক্ত দেশের ভিসা সেন্টার খোলার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার