করোনা মহামারির মধ্যে ৪ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিককে জোর করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২০২১ সালের বিশ্ব মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ বুধবার সকালে বিশ্ব মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস ‘ওয়ার্ল্ড ডে এগেনস্ট ট্রাফিকিং ইন পারসন ২০২১’ সামনে রেখে ওয়েবিনারের আয়োজন করে আইওএম। এতে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো, বাংলাদেশের আইওএমের প্রধান গিওরগি গিগাওরিসহ বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনৈতিক, জাতিসংঘ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এতে সূচনা বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনসিডিং বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী। অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও চিত্র দেখানো হয়।
মূল প্রবন্ধটিতে করোনাকালের মানব পাচার নিয়ে বর্তমান চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে করোনা মহামারির সময়ে সাড়ে ৩ লাখ পুরুষ ও ৫০ হাজার নারী বাংলাদেশি অভিবাসীকে জোর করে ফেরত পাঠানো হয়। ফিরে আসা বাংলাদেশিদের ৭০ শতাংশের দেশে কাজ খুঁজে পেতে কষ্ট হয়েছে। তাঁরা ঋণে জর্জরিত।
তিনটি রুটে বাংলাদেশিরা পাচার হয়ে থাকেন। রুটগুলো হলো বাংলাদেশ-তুরস্ক-লিবিয়া-ইউরোপ, বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলঙ্কা-লিবিয়া-ইউরোপ এবং বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাত-জর্ডান-লিবিয়া-ইউরোপ। সাম্প্রতিক সময়ে এসব রুটে যাওয়া বাংলাদেশিদের অনেককেই ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। করোনার কারণে মানব পাচারের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। করোনায় বাংলাদেশি যাঁরা ইউরোপে উন্নত জীবনের জন্য অভিবাসী হতে চান, তাঁদের কারণে মানব পাচারকারীদের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। এ ছাড়া করোনায় জীবিকার সংকটে নারী ও শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনও বেড়ে গেছে। মেয়েশিশুদের ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ বেড়ে গেছে।