রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন ও হতাহতের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে তদন্ত কমিটিকে। আজ মঙ্গলবার সকালে রেল ভবনে তেজগাঁও রেল স্টেশনে ঢাকা-নেত্রকোনা রুটে চলাচলকারী ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘পুরো ঘটনা তদন্ত না করে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাত্রী হয়ে রেলের ভেতরে ঢুকে নাশকতা করেছে। এটা তো রেলের পক্ষে নিরাপদ করা সম্ভব না। কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে সেটা জানা নেই। আজ (মঙ্গলবার) সকালের ঘটনায় রেল থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও রেল স্টেশনে ঢাকা-নেত্রকোনা রুটে চলাচল করা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে দগ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
ট্রেনে আগুন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার।
এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় আসছিল। বিমানবন্দর স্টেশন পার হওয়ার পর খিলক্ষেত এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীরা পেছনের বগিতে আগুন দেখতে পান। পরে তারা চিৎকার করতে শুরু করেন। এরপর চালক ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে থামান।’
নিহত চারজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন নাদিরা আক্তার পপি ও তাঁর তিন বছরের ছেলে ইয়াসিন।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে গাজীপুরের ভাওয়ালে রেল স্টেশনের আউটার সিগন্যাল এলাকায় চিলাই ব্রিজের কাছে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে একজন নিহত ও সাতজন আহত হয়। সেদিন গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘নাশকতার উদ্দেশ্যে রেললাইন কেটে রাখার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’