বাংলাদেশ তৈরি পোশাক ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের সাক্ষাৎকালে শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে পোশাক শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম হত্যা ঘটনায় স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটি।
বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার ডক্টর লিলি নিকোলসের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনৈতিক কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এর পরপরই বিজিএমইএ থেকে পোশাক শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ তদন্তের দাবি এল।
এই সাক্ষাতের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেপুটি হেড অব মিশন ড. বার্ড স্প্যানিয়ার, জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জ্যান জানোয়াস্কি, যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ডানকান ওভারফি, কানাডিয়ান হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর ব্র্যাডলি কোটা এবং যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) ভ্যানেসা বিমন্ট।
এ সময় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন—সংগঠনের সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহসভাপতি মো. নাসির উদ্দিন এবং বিজিএমইএর বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানরা।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অনতিবিলম্বে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শহিদুল ইসলাম গত ২৫ জুন টঙ্গীর সাতাইশ বাগানবাড়ি এলাকার ‘প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড’ কারখানায় শ্রমিকদের পাওনা টাকা আদায়ে কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন।
তিনি বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। এ ঘটনায় ২৬ জুন টঙ্গী পশ্চিম থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি কল্পনা আক্তার। এখন পর্যন্ত মামলার আসামি ধরা পড়েছে মাত্র একজন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার তদন্ত করছে।
এদিকে বাংলাদেশে কূটনৈতিক সফরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠকে তুলেছেন বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: