হোম > জাতীয়

আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ, ২৯ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক সাভার ও সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯: ০৮
বন্ধ কারখানার সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার আশুলিয়ার বিভিন্ন পোশাক কারখানায় বাৎসরিক বেতন বাড়ানোর দাবিতে সৃষ্ট শ্রমিক অসন্তোষ অব্যাহত রয়েছে। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আজ বৃহস্পতিবার শিল্পাঞ্চলের ২৯টি পোশাক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিল। এর মধ্যে অনেক কারখানার শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হলেও কাজ না করে বসেছিলেন।

পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আজ আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ১৩ (১) ধারা মতে ৮টি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। এসব কারখানা গত তিন দিনে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কারখানাগুলো হলো আশুলিয়ার এজে সুপার গার্মেন্টস লিমিটেড, মাম গার্মেন্টস লিমিটেড, ফিরোজা গার্মেন্টস লিমিটেড, নাসা সুপার গার্মেন্টস লিমিটেড, নাসা বেসিক লিমিটেড, টাউজার লাইন লিমিটেড, আল মুসলিম অ্যাপারেলস ও এস সুহি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। বন্ধ ঘোষণা করা এসব কারখানার মূল ফটকে বন্ধের নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিজিএমই এর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ৮টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি আরও ৮টি কারখানা আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ১৩টি কারখানার শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হলেও কাজ না করে বসেছিলেন। এ কারণে ওই সব কারখানায় আজ উৎপাদন বন্ধ ছিল।

শিল্প পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষসহ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার থেকে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বাৎসরিক বেতন ১৫ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। যেসব কারখানার শ্রমিকেরা এই দাবি তুলেছেন তারা কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের দাবি আদায়ের জন্য কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে সরকারের কথা বলতে হবে। শ্রমিকদের থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করে তাদের সমস্যা বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারও মালিকপক্ষ তা না করে শুধু ষড়যন্ত্রের কথা বলে কারও ওপরে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক। এছাড়া বছর শেষে ছুটির টাকা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। সকল বিষয় নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে। শ্রমিকদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে তাদের যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে হবে, তথ্য জানাতে হবে। তবেই শ্রমিক অসন্তোষ কবে আসবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ‘আমরা রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র বুঝি না। আমরা পেটনীতিতে বিশ্বাসী। আমাদের ঘর ভাড়া আর সন্তানদের ভরণপোষণের ব্যবস্থা হলেই আমরা খুশি। আমাদের বেশি কিছুর দরকার নেই। কিন্তু সরকার আর মালিকপক্ষ আমাদের এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দাবি মেটায় না। এ কারণেই আমাদের আন্দোলন করতে হয়।’

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, ‘বাৎসরিক বেতন ১৫ শতাংশ বাড়ানোর দাবিতে আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানায় গত মঙ্গলবার থেকে শ্রমিক অসন্তোষ বিরাজ করছে । আজও শ্রমিকদের এই অসন্তোষ অব্যাহত ছিল।’

চার সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশ

এনআইডি স্বরাষ্ট্রে নেওয়ার আইন বাতিল চেয়ে ইসির চিঠি

সরকারি কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

৪৫০ কোটি টাকা পাচার: শামীম ওসমান ও নানকসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা

সেকশন