Ajker Patrika
হোম > জাতীয়

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ২ সেপ্টেম্বর, বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন ২৮ অক্টোবর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ২ সেপ্টেম্বর, বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন ২৮ অক্টোবর

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত) আগামী ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে মন্ত্রী জানান, ২৮ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

আজ সোমবার বনানীর সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করা হয়েছে। পদ্মা সেতু থেকে সরকারের যে আয় সেটা দুই দফায় ৬৩২ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী সেটি অর্থসচিবের কাছে দিয়েছেন।’

মন্ত্রী বলেন, আজ যে প্রকল্প নিয়ে কথা বলব সেটা পিপিপি প্রকল্প। এটা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে শুরু করে মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার হয়ে কুতুবখালী গিয়ে শেষ হবে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। জুন ২০২৪-এ শেষ হবে। এটা মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে। 

মন্ত্রী বলেন, আর একটি ঘোষণা দেওয়া হবে। যেটি নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। সেটি হচ্ছে টানেল। এটি ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন হব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের দিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে একটি সুধী সমাবেশ হব। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন শেষে এই সমাবেশে বক্তৃতা করবেন। 

মন্ত্রী আরও জানান, সেপ্টেম্বর মাসে আরও ১৫০টি সেতু একবারে খুলে দেওয়া হবে। এর আগে যেমন ১০০টি সেতুর একদিনে উদ্বোধন করা হয়েছিল একইভাবে ১৫০ সেতু একই দিনে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তারিখটা পরে জানানো হবে। এ ছাড়া অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে মেট্রোরেল খুলে দেওয়া হবে মতিঝিল পর্যন্ত। 

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে মন্ত্রী জানান, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে এটি দেশের বৃহত্তম প্রকল্প। প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। আর র‍্যাম্পসহ মোট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। 

প্রকল্পটি ঢাকা শহরের উত্তর-দক্ষিণ করিডরের সড়ক পথের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এছাড়াও প্রকল্পটি ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হলে ঢাকা ইপিজেড ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের যোগাযোগ সহজতর হবে। 

প্রকল্প সূত্র বলছে, প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর। প্রকল্পটি থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ৫১ শতাংশ এবং চায়না ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান শেনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ ৩৪ শতাংশ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড ১৫ শতাংশের এর যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা; যার ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার ‘ভিজিএফ’ হিসেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। 

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। প্রকল্পটি ২০২৪ এর জুনে শেষ হবে। বর্তমানে প্রকল্পের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ যান চলাচলে জন্য প্রস্তুত হয়েছে। এ অংশের মেইন লাইনের দৈর্ঘ্য-১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং র‍্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ২২ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এ অংশে ওঠা নামার জন্য মোট ১৫টি র‍্যাম্প (এয়ারপোর্ট-২, কুড়িল-৩, বনানী-৪, মহাখালী-৩, বিজয়স্বরণী-২ ও ফার্মগেট-১) রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি র‍্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ীর সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ৮০ কিলোমিটার।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

এস আলম গ্রুপের আরও ১১ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল ঢাকা–সিলেট

উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন অধ্যাপক সি আর আবরার

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

অবসরের আগে পদোন্নতি নিয়ে আগের পথেই অন্তর্বর্তী সরকার

ঈদযাত্রার ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে ১৪ মার্চ