মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামালপুরের শামসুল হককে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ থেকে কমিয়ে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। শামসুল হকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও এহসান এ সিদ্দিক।
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই দেওয়া রায়ে অ্যাডভোকেট শামসুল হককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে এর বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি।
রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, শামসুল হক আইনজীবী ছিলেন। তিনি জামায়াতে ইসলামির সদস্য ছিলেন। ওই সময় (মুক্তিযুদ্ধের সময়) ছিলেন শান্তি বাহিনীতে। এই মামলায় অভিযোগ হচ্ছে– ভিকটিম নূরুল আমিন মল্লিক আওয়ামী লীগ সমর্থক ছিলেন। তাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ওই সময় শামসুল হকের কাছে গিয়েছিলেন তাঁকে (নুরুল আমীন) ছাড়ানোর জন্য। তিনি বলেছিলেন দেখি। তবে তিনি কোনো চেষ্টা করেননি ছাড়ানোর জন্য। এটাই ছিল তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। তবে পাকিস্তানিরা আরও দুজনকে ধরে নিয়েছিল। যাঁদেরকে তাঁর অনুরোধে ছেড়ে দেয়। ট্রাইব্যুনালের আইনে আছে কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে দায়িত্ব পালন না করার মাধ্যমে সহায়তা করে সেটা অপরাধ। সেই অপরাধে তাঁকে যাবজ্জীবন দিয়েছিল। আপিল বিভাগ তাঁর আপিল খারিজ করলেও সাজা কমিয়েছেন। রায় দেখে প্রয়োজনে রিভিউ করব।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সংলাপের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংলাপ যেকোনো সময় হতে পারে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে তফসিল ঘোষণা করা। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা। সংবিধান অনুযায়ী জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। কোনো কারণে যদি একটা বা দুটা উপনির্বাচন করতে হয় সে কারণে তাদের হাতে সময় রাখতে হবে। সেটাও এ সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানান তিনি।