ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহহিল কাফীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যেহেতু, জনাব মো. আবদুল্লাহহিল কাফী, বিপি-৮৫১১১৪২৫২১, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ঢাকা জেলা (সুপারনিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), সাবেক পুলিশ অফিসার ধানমন্ডি থানা, ডিএমপি, ঢাকা হাজারীবাগ খানায় রুজুকৃত মামলা নং-১১, তারিখ ৩০-৮-২০২৪ খ্রি. ধারা-৩২৫/৩৮৬/৩৬৪/৩৪৬(১)/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড–এর ৫ নং এজাহারনামীয় আসামি এবং বর্ণিত কর্মকর্তা উক্ত মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলহাজতে আছেন। সেহেতু, জনাব মো. আবদুল্লাহহিল কাফীকে বিএসআর, পার্ট-১–এর বিধি-৭৩–এর নোট-১ ও নোট-২ অনুযায়ী ৩-৯-২০২৪ খ্রি. তারিখ থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখায় করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী ঘোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।’
এর আগে আবদুল্লাহহিল কাফীকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
সম্প্রতি আশুলিয়া এলাকার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। ওই ফুটেজে দেখা যায়, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানা এলাকায় পুলিশ সদস্যরা একটি ভ্যানে একাধিক লাশ তুলছে। ওই মরদেহগুলো পরে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে তুলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে তা তদন্ত করতে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ছিলেন আবদুল্লাহহিল কাফি। তাঁর নির্দেশেই লাশগুলো পুলিশের পিকআপ ভ্যানে তোলার পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে শনাক্ত করার পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।