বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘কল–কারখানায় উৎপাদন সক্ষমতা বেড়ে গেছে। এতে শিল্পে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে সংকট দেখা দিয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্প কল–কালখানায় আমরা গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে যে পরিমাণ গ্যাস দিয়েছিলাম এখনো সেই পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করছি। তাহলে এই বছর গ্যাসের সংকট বাড়ল কেন? একদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে গেছে। আবার অন্যদিকে এই বছর শিল্পে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ার কারণে বাড়তি ১০০ মিলিয়ন কিউবিক ফিট গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে। যার জন্য শিল্প উৎপাদনে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী।
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বর্তমান পরিস্থিতিকে খারাপ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পরিস্থিতি এখন যা আমাদের সেভাবে মোকাবিলা করতে হবে। খারাপ পরিস্থিতি আমাদের খারাপভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি পরিস্থিতি যেন এর চেয়ে খারাপ না আসে। শিল্প কল–কারখানায় গ্যাসের সংকট কীভাবে কাটানো যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকটের কারণে মানুষের কষ্টের কথা স্বীকার করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম বাড়ার কারণে আমরা বিদ্যুৎ ও গ্যাসে সাশ্রয় করছি। আমি জানি এই সাশ্রয় করতে গিয়ে সবারই কষ্ট হচ্ছে। এটা আমি অস্বীকার করছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে প্রত্যেকটি দেশে এই জ্বালানি সংকট নিয়ে শঙ্কিত। সবাই চিন্তা করছে সামনে কী হবে। আমরা তো এর বাইরে না। আমরা এখন যে পরিস্থিতিতে (বিদ্যুৎ ও গ্যাস) আছি সেই রকম পরিস্থিতিতে বিশ্বের সবকটি দেশেই আছে। এটা আমাদের বুঝতে হবে।’