বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক ১১ মন্ত্রীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
সাবেক মন্ত্রীরা হলেন—আনিসুল হক, আমির হোসেন আমু, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, ডা. দীপু মনি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আরও রয়েছেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। এ ছাড়াও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলমও রয়েছেন এ আসামিদের মধ্যে।
এর আগে নির্দেশ অনুযায়ী আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পলাতক থাকায় তাঁকে হাজির করা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি শুনানিতে বলেন, সারা দেশে ঘটনার বিস্তৃতি। তা ছাড়া জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি আমরা যুক্ত করতে চাই। এ জন্য দুই মাস সময় প্রয়োজন। পরে আদালত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেন। এ ছাড়া এই মামলায় সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম গ্রেপ্তার দেখাতে করা আবেদনও মঞ্জুর করেছেন ট্রাইব্যুনাল।