বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে দুটি বিষয়ের নিশ্চয়তা চায় যুক্তরাষ্ট্র।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম ‘ডিক্যাব টক’-এ কথা বলেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
ডিক্যাব আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বক্তৃতায় র্যাবের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে মানবাধিকার রক্ষা অন্যতম অগ্রাধিকার। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও এর কিছু কর্মকর্তার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, এটি তারই প্রতিফলন।
র্যাব ও এর কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে পিটার ডি হাস বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের কাছ থেকে দুটি বিষয়ে নিশ্চয়তা চাচ্ছি। একটি হচ্ছে, র্যাব ও সম্ভাব্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহি। আরেকটি হলো, পুনর্গঠন, যাতে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আর সামনে না ঘটে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো কার্যক্রমের তালিকা নেই।’
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস।
এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত সম্পর্কিত খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার’ অভিযোগে র্যাব এবং এর সাত (সাবেক ও বর্তমান) কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বারবার অনুরোধ করা হলেও জবাবদিহি নিশ্চিত করার সুস্পষ্ট পদক্ষেপ ছাড়া র্যাবের প্রতি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা সম্ভব নয় বলে একাধিকবার জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জাতীয় সম্পর্কিত খবর পড়ুন: