Ajker Patrika
হোম > জাতীয়

স্মার্ট অ্যাভিয়েশনের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট নীতিমালা, যাত্রীবান্ধব অবকাঠামো

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

স্মার্ট অ্যাভিয়েশনের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট নীতিমালা, যাত্রীবান্ধব অবকাঠামো

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। দেশের অ্যাভিয়েশন খাতকে স্মার্ট করতে যাত্রী বান্ধব অবকাঠামো সৃষ্টির পাশাপাশি স্মার্ট নীতিমালা করতে হবে। দেশের বিমানবন্দরগুলোতে দ্বিতীয় রানওয়ে তৈরির পাশাপাশি অবকাঠামো তৈরির সময় ব্যবহারকারীদের পরামর্শ নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে ‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বন্ধ অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর সমূহ চালুকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম। সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইবিএল কমিউনিকেশনস অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগ প্রধান জিয়াউল করিম।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ব্যবসা বান্ধব অ্যাভিয়েশন নীতিমালা ও অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উন্নয়নকল্পে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। আমাদের যাত্রী ও কার্গো চাহিদার যে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা পূরণ করতে ও দেশকে অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ঢাকার অদূরে একটি নতুন আধুনিক পরিপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যাকে ঘিরে একটি অ্যাভিয়েশন শহর উঠতে পারে, তার পরিকল্পনা এখনই নেওয়া জরুরি প্রয়োজন।’

এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হচ্ছে। ব্রিটিশ আমল থেকেই কক্সবাজার কৌশলগত অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত। তাই স্থান সংকুলান হলে এখানে আরও একটি রানওয়ে তৈরি করতে হবে। আমাদের দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলকে আরও কর্মচঞ্চল করার জন্য ও চার দেশের সংযোগ স্থলে (চিকেন নেক) বাণিজ্যিক সুবিধা নেওয়ার জন্য সৈয়দপুর বিমানবন্দরকেও অনতিবিলম্বে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করতে হবে। সকল চালু অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোকে সংস্কার করে পূর্ণোদ্যমে পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে। রাত্রিকালীন ও খারাপ আবহাওয়ায় অবতরণ ব্যবস্থায় উন্নয়ন আনতে হবে। যে ৪টি বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে আছে সেগুলো পুনরায় চালু করে অভ্যন্তরীণ অ্যাভিয়েশন বাজার সম্প্রসারিত করতে হবে। অধিক সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে উড়োজাহাজ ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে হবে। ঢাকায় হেলিকপ্টার অপারেশনের জন্য প্রস্তাবিত হেলিপোর্ট নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে চাপমুক্ত করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। পরিত্যক্ত এয়ারস্ট্রিপগুলো উদ্ধার করে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসার পর এগুলোকে স্টল পোর্ট, হেলিপোর্ট, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও রক্ষণাবেক্ষণ অর্গানাইজেশন হিসেবে চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে।’

নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ‘শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটের চাপ বেড়েছে। একটি ফ্লাইট টেক অফ করার সময় ৩০-৪০ মিনিট ট্যাক্সিতে অপেক্ষা করতে হয়। অবতরণের পর ২০-৩০ মিনিট সময় ট্যাক্সিতে নষ্ট হয়। এ কারণে অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হচ্ছে এয়ারলাইনগুলোর। দ্বিতীয় রানওয়ে হলে এ সংকট দূর করা সম্ভব হবে। দেশের অ্যাভিয়েশন খাতের অবকাঠামোগুলো নির্মাণ করার সময় ব্যবহারকারী হিসেবে এয়ারলাইনগুলোর পরামর্শ নেওয়া হয় না, যার করণে সুফল মিলছে না।’

অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান বলেন, ‘হ্যালিপোর্টের নীতিমালা তৈরিতে আমাদের অনেক সময় চলে গেছে এটা ঠিক। ব্যুরোক্রেসির কারণে সময় লেগেছে। তকে আমরা আইন ও নীতিমালা দুটো নিয়েই কাজ করছি। আমাদের অর্থনৈতিক সংকট দূর হলে হেলিপোর্ট নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অবকাঠামো তৈরির বিষয়ে আমাদের কিছু দুর্বলতা আছে, সমন্বয়হীনতা আছে। আমরা ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে আরও সুষ্ঠুভাবে কাজ করব। ব্যবহারকারীদের পরামর্শ গ্রহণ করে পরিকল্পনা গ্রহণ করব, যাতে শতভাগ সুফল পাওয়া যায়।’

দেশের পরিত্যক্ত বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার উপযোগী করা হবে বলেও জানান বেবিচক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘যেসব স্টল, বিমানবন্দর সিভিল অ্যাভিয়েশনের অধীনে আছে, কিন্তু দখলে নেই, সেগুলো আমরা পরিদর্শন করছি। সেগুলো সিভিল অ্যাভিয়েশনের দখলে আনা হবে, চাহিদা থাকলে পর্যায়ক্রমে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাভজনক অবস্থায় আছে। অন্যান্য বিমানবন্দরগুলো ভর্তুকি দিয়ে পরিচালনা করতে হচ্ছে জনস্বার্থে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল করা হচ্ছে, সেখানে দ্বিতীয় আরেকটি রানওয়ে প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে জায়গা নেই, তাই আমরা আরেকটি ডিপেন্ডেবল রানওয়ে করার পরিকল্পনা নিয়েছি।’

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন—বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ডেইলি অবজার্ভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (করপোরেট ট্রেনিং অ্যান্ড প্লানিং) এয়ার কমোডর মো. মাহবুব জাহান খান, বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

অবসরের আগে পদোন্নতি নিয়ে আগের পথেই অন্তর্বর্তী সরকার

ঈদযাত্রার ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে ১৪ মার্চ

ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত: পরিবেশ উপদেষ্টা

স্কুলে ভর্তিতে সুবিধা এককালীন, কোটার সঙ্গে তুলনীয় নয়

বেক্সিমকোর ৩ প্রতিষ্ঠানে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে বাধা কাটল

নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখ প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করবেন: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

জেনেভায় জাতিসংঘের প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন দুই উপদেষ্টা

গণপরিষদ নিয়ে ভাবছে না ইসি, একমাত্র লক্ষ্য জাতীয় নির্বাচন

পিএসসির মাধ্যমে আরও ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার