নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আলেম সমাজকেও যুক্ত করার চেষ্টা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় চক্রান্তকারীরা অস্থিরতা তৈরি করতে আলেম সমাজকে যুক্ত করার চেষ্টা করেছিল। তবে আলেম ওলামারা তাতে সাড়া দেননি।
আজ শনিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আলেম-ওলামাদের একাংশ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে দেশে অরাজকতা তৈরি করেছে। ভাঙচুর অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়।’
ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যারা এসব তৎপরতায় জড়িত ছিল, তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করা হবে। সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন। তিনি মেট্রোরেলে হামলার উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা করা হয়েছে। এতে সাধারণ জনগণ যাতায়াতে কষ্ট পাচ্ছে। যারা ক্ষয়ক্ষতি করার চিন্তা করে, ইসলাম তাদের কখনো সমর্থন করে না।’
পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনার উল্লেখ করে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের এমন নৃশংসতা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।’
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে পার্টির মহাসচিব মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী, মুফতি আব্দুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ, লক্ষ্মীপুরের পীর খাজা হারুনুর রশিদ মিরন প্রমুখের বক্তব্য শেষে মাওলানা হারুন-রশিদ যুক্তিবাদী দেশ ও বিশ্বের শান্তি কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন।