Ajker Patrika
হোম > জাতীয়

নতুন ইসিতে আস্থা দলগুলোর, প্রমাণ চায় কাজে

রেজা করিম ও তানিম আহমেদ, ঢাকা 

নতুন ইসিতে আস্থা দলগুলোর, প্রমাণ চায় কাজে
ফাইল ছবি

পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে ‘কথায় নয়, কাজে প্রমাণ দিক’ নতুন কমিশন।

অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে গতকাল পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এ ক্ষেত্রেও বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর চাওয়ার প্রতিফলন ঘটেছে। কারণ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পদে এ এম এম নাসির উদ্দীনের নাম বিএনপিই প্রস্তাব করেছে। এ ছাড়া গণফোরাম ও গণতন্ত্র মঞ্চের একাধিক দলের প্রস্তাবেও তাঁর নামটি ছিল। কমিশনের অন্য সদস্যদের নামও বিএনপি এবং এর সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। এ বিষয়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ইসি নিয়ে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন নেতারা। তাঁরা বলেন, অতীতে অনেক ভালো মানুষও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু দায়িত্ব পালনে তাঁদের নিরপেক্ষ জায়গাটা শেষ পর্যন্ত বজায় রাখতে পারেননি। কোনো ব্যক্তি বা দলের প্রতি আনুগত্য না হয়ে কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে, সেটিই প্রত্যাশা।

এই নতুন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করবে, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে, এমনটিই আশা করি।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য

নবগঠিত নির্বাচন কমিশন জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এই নতুন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করবে, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে, এমনটিই আশা করি।’

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘আমরা আশা করি এই কমিশন কার্যকর ভূমিকা পালন করবে এবং একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং ভয়ভীতিহীন নির্বাচন করবে।’ এক্ষেত্রে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখার বিষয়টিকে নতুন কমিশনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি। প্রশাসনকে দলনিরপেক্ষভাবে সাজানোর পাশাপাশি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে, এমন বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ এ নেতার।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা সাইফুল হক বলেন, ‘বিগত তিনটি নির্বাচন চূড়ান্ত তামাশায় পর্যবসিত হওয়ায় নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। নতুন কমিশনকে দক্ষতা, দূরদর্শিতা, যোগ্যতা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে হবে। বাকিটা প্রমাণ হবে তাঁদের কাজের মাধ্যমে।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গত তিন মেয়াদে জনগণ কী কী কারণে ভোট দিতে পারেনি, সেটা সবাই অবগত আছেন। সেগুলো ওভারকাম করে একটা ভালো, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে।’

আশা করি এই কমিশন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং ভয়ভীতিহীন নির্বাচন করবে।
মতিউর রহমান আকন্দ, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক

নতুন কমিশন নিয়ে ইতিবাচক প্রত্যাশার কথা জানিয়ে গণফোরাম সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব মিজানুর রহমান বলেন, ‘তারা (ইসি) যে দায়িত্ব নিয়েছে, জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। আশা করি, তাঁরা সফল হবেন এবং তাঁদের কাজের মাধ্যমেই তা প্রমাণ করবেন।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘কে নির্বাচন কমিশন হলো, কে হলো না, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হলো, এটা ঠিকভাবে চলবে কিনা। তাদের চ্যালেঞ্জ হবে মানুষকে ভোটে আনা। একটা সঠিক নির্বাচন হলে, মানুষ অভয়ে ভোট দিতে পারলে, এ দেশের অর্ধেক সমস্যা আপনা আপনি ঠিক হয়ে যাবে।’

নতুন নির্বাচন কমিশন সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কাজ করবে বলে প্রত্যাশা করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে অনেক ভুয়া ভোটার হয়েছে। তালিকা হালনাগাদ করে তাদের বাদ দিতে হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ইচ্ছামতো আসনের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল, এ ক্ষেত্রেও সংস্কার করতে হবে।’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবির) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের একটি দায়িত্ব ছিল সংস্কারের কিছু কাজ করা। সংস্কার কমিটি থাকায় সেটা তাদের করতে হবে না। তাদের সঙ্গে মিলিয়ে একটা সংস্কারের কাজ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করা। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁরা সে চেষ্টা গ্রহণ করবেন বলে আমরা মনে করি।’

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নতুন নির্বাচন কমিশন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা করি। একটি অংশগ্রহণমূলক ও পক্ষপাতহীন নির্বাচন করার জন্য যে দৃঢ়তা ও সাহসিকতার দরকার, সেটা যেন কমিশনের থাকে, সেটিই আমরা আশা করি।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘অতীতে নির্বাচনের নামে তামাশা হয়েছিল, ভোটাররা বঞ্চিত হয়েছিলেন তাঁদের অধিকার থেকে। আগামীতে তা যেন না হয়। ভোটারদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারলেই নতুন নির্বাচন কমিশনের সফলতা জাতির সামনে প্রকাশ হবে। তা না হলে বারবার করে ব্যর্থ হতে থাকলে মানুষের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হবে।’

সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

নতুন রাজনৈতিক শক্তির জন্য আমার রাজপথে থাকা প্রয়োজন, পদত্যাগের পর নাহিদ

পদত্যাগপত্রে যা লিখলেন নাহিদ ইসলাম

৯ দপ্তরে নতুন সচিব

সন্ত্রাসীদের থানাভিত্তিক হালনাগাদ তালিকা হচ্ছে

উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করলেন নাহিদ ইসলাম

চাকরিতে ফেরার সুযোগ পেলেন ৮২ নির্বাচন কর্মকর্তা

যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত বৈঠক চলছে

সতর্ক করে দিচ্ছি, নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে: সেনাপ্রধান

সারা দেশে র‍্যাবের ২১৮ টহল দল, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি