নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ১০ শতাংশ কোটা রেখে তা পুনর্বণ্টন এবং পুরো কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এই দাবিতে গতকাল সোমবার সমাবেশ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে চার দফা দাবি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও দলনিরপেক্ষ ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সদস্যসচিব নাহিদ হাসান।
চার দফা দাবি হলো—২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল এবং কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অনধিক ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পুনর্বণ্টন বা সংস্কার করতে হবে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা-সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সমাবেশে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের যদি সুযোগ-সুবিধা আরও প্রয়োজন হয়, তাহলে সেগুলো দেওয়া হোক। কিন্তু যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে তাঁরা যুদ্ধ করেছেন, সেই বৈষম্য বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবেশের পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি রায়সাহেব বাজার হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে এসে সমাবেশে পরিণত হয়।
জাবির সমাবেশে বলা হয়, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে কোনো ক্ষেত্রেই ফ্যাসিস্টরা ছাত্রসমাজের সঙ্গে টিকে থাকতে পারেনি। বর্তমান সরকারও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল না করে পারবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বৃষ্টিতে ভিজে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, ৫৬ শতাংশ কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। সরকারি চাকরিতে কোটা কখনোই কাম্য নয়। চাকরি কোটায় নয়, মেধায় হোক।