নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সারা দেশে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ না দিয়েই কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন ওই ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ।
রিটে কক্সবাজারের সব ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার তালিকা যাচাই করে রোহিঙ্গা ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, তাদের নাগরিকত্ব প্রদান-সংক্রান্ত সব নথি বাতিল করা এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে, তা গত ২৪ এপ্রিল জানতে চান হাইকোর্ট। এরপর সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবার সারা দেশের বিষয়ে তথ্য চাইলেন হাইকোর্ট।
আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তিনি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন—ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, ২০১৬ সাল থেকে ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ কিছু ক্ষমতাধর ব্যক্তির যোগসাজশে, রোহিঙ্গাদের জাল কাগজপত্র তৈরি করে জন্মনিবন্ধন, ভোটার আইডিসহ দেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ইউনিয়নে অন্তত ৩৭০ জন রোহিঙ্গাকে জন্মনিবন্ধন ও ভোটার আইডি দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া স্থানীয় এক বাসিন্দা ৩৮ জন রোহিঙ্গার নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দাখিল করেন।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ৩৮ জনের মধ্যে ৩৫ জন রোহিঙ্গার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়।