নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আঞ্চলিক ইস্যুতে ভারতকে সংবেদনশীল হতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে মহিলা কমিটি আয়োজিত বার্ষিক আনন্দ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের অশান্তি করে ভারত যেমন বাঁচতে পারবে না, তেমনি ভারত একাও চলতে পারবে না। ভারতকে একটি সংবেদনশীল নেতৃত্বে আসতে হবে। তাহলেই, ভারতের সঙ্গে সংকটময় মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে পারব এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারব।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফসল এই অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকার সংস্কারের মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাজ, তথা দেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। একাত্তর আমাদের দেশ দিয়েছে, পতাকা দিয়েছে, মাটি দিয়েছে কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দেশ দেয়নি। একাত্তরের মাথার মুকুট আমরা পদদলিত করেছি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে পারিনি, কৃষকদের উন্নয়ন করতে পারিনি বলেই তার পরিণতি হচ্ছে ২০২৪।’
দুর্নীতিগ্রস্ত-অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নিষ্ঠুরতার কারণে বাধ্য হয়ে ছাত্র-জনতা ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে বিপ্লব ঘটিয়ে এ দেশকে নতুন করে পুনর্জন্ম দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন শারমীন মুরশিদ। তিনি বলেন, ‘অতীতে যা ঘটে গেছে, ১৫ বছরের শাসনামলে যে কাজ করে গিয়েছে—নৈতিকতার দিক থেকে এ দেশ গড়ার কাজে নতুন করে ভাবতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে সকলের প্রচেষ্টায় এ দেশকে গড়ব—এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
অর্থনীতিতে নারীদের উদ্যোগ প্রশংসনীয় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশে নারীকেন্দ্রিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এর ফলে, ইকোনমিক গ্রোথ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা দেশের জন্য বড় অর্জন। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসা মাধ্যমে আমরা যেন আমাদের এই রাষ্ট্রের সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিতে পারি এবং বঞ্চিত মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বনে সংবেদনশীল সামাজিক ব্যবসা ইকোনমিক চিন্তা ধারায় একটি সুন্দর সমাজ গড়তে পারি।’
মহিলা কমিটির সভানেত্রী সেলিনা আক্তার পপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অফিসার্স ক্লাবের সম্পাদক এবিএম আব্দুস সাত্তার। এর আগে উপদেষ্টা বেলুন উড়িয়ে আনন্দমেলার উদ্বোধন করেন এবং মেলায় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ মেলা চলবে।