নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আজ বুধবার। ইতিমধ্যে ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটকেন্দ্রগুলোতে গড়ে তোলা হয়েছে নিরাপত্তাবলয়। বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন এই নির্বাচনে বেশির ভাগ উপজেলায় লড়াই হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে। এতে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি প্রত্যাশিত মাত্রায় হবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চার মাসের মাথায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন। সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন মহলে বেশ আলোচনায় ছিল। এ কারণে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটারের স্বাক্ষর নেওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারপরও বিএনপি ও সমমনাদের বর্জন করা এই নির্বাচনে নেই উৎসবের আমেজ।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দিঘলকান্দি গ্রামের মোশরাফ হোসেন বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে কী হবে? এখানে তো আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল অংশগ্রহণ করেনি। সময় পেলে ভেবে দেখব, ভোট দিতে কেন্দ্রে যাব কি না।’
বোনারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নতুন ভোটার মো. সাইমুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘এবার ভোট দেওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সাধারণ জনগণের জন্য কাজ করবেন সেই রকম প্রার্থী মাঠে পেলাম না। তাই কেন্দ্রে যেতে ইচ্ছা নাই। তারপরও ভেবে দেখব।’
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে হাতিয়া, মুন্সিগঞ্জ সদর, বাগেরহাট সদর, পরশুরাম ও শিবচর—এই পাঁচ উপজেলার সব পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। অর্থাৎ এই পাঁচ উপজেলায় কোনো পদেই ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না।
এদিকে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের ভোট আর স্থানীয় সরকারের ভোটে পার্থক্য থাকবেই। স্থানীয় সরকারের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা একটু বেশি হয়ে থাকে। সেদিক থেকে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উত্তেজনা স্থানীয় নির্বাচনে বেশি হয়ে থাকে। সে জন্য আমরাও সতর্ক অবস্থায় থাকি; যেন উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উত্তেজনা থেকে কোনো সংঘর্ষ-সহিংসতা না হয়।’