অবশেষে শঙ্কাই সত্যি হলো, দেশে প্রবেশ করেছে চীনের নতুন উপধরন বিএফ-৭। বাংলাদেশে আসা চার চীনা নাগরিকের নমুনা পরীক্ষায় একজনের দেহে অমিক্রনের এই উপধরন পাওয়া গেছে, যা অন্যান্য ধরনের চেয়ে চার গুণ বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চীনা নাগরিকের নতুন ধরন শনাক্তের বিষয়টি আজ রোববার দুপুরে আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরীন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, ‘দেশে ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ-৭-এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে। প্রথম দফায় আসা চার জনের মধ্যে একজনের নমুনায় নতুন উপধরন পেয়েছি। আক্রান্ত ব্যক্তি আইসোলেশনে এবং সুস্থ রয়েছেন।’
এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন ১০৫ জন যাত্রী। যেখানে চীনসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা ছিলেন। এ সময় বেশ কয়েকজনের শারীরিক নানা উপসর্গ দেখে সন্দেহ হলে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। এতে চার জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের শারীরিক নানা উপসর্গ দেখে নতুন উপধরনের শিকার বলে সন্দেহ জাগে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের। পরে ওই দিনই নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর। একই সঙ্গে তাদের রাজধানীর মহাখালী কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়া হয়।
এদিকে দেশেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আগের দিন পর্যন্ত সংক্রমণের মাত্রা ১ শতাংশের মধ্যে থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় সেটি ছাড়িয়ে ১ দশমিক ২৭ শতাংশে উঠেছে। একই সঙ্গে গত এক সপ্তাহ মৃত্যু শূন্য থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ৪৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৩ জন। এতে করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ১২৫ জনে পৌঁছেছে।