হোম > জাতীয়

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিশেষ কৃষি পণ্যের মর্যাদা পেল কাঁঠাল

অনলাইন ডেস্ক

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২২টি দেশের বিভিন্ন কৃষি পণ্যের অন্যতম শীর্ষ কৃষি পণ্যের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আয়োজনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশ থেকে একটি বিশেষ কৃষি পণ্য নির্বাচন করা হয়। বাংলাদেশ থেকে নির্বাচন করা হয় কাঁঠালকে। 

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এফএও-এর ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান প্রায়োরিটি প্রোডাক্ট (ওসিওপি) উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কাঁঠালকে অন্যতম বিশেষ কৃষি পণ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ এই ওসিওপি) উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছে। 

এফএও আয়োজিত দুদিনব্যাপী সম্মেলনে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২২টি দেশের প্রতিনিধিরা ঢাকায় জড়ো হয়েছেন। সম্মেলনে তারা তাদের নিজ নিজ ‘বিশেষ কৃষি পণ্যের’ টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করবেন। এসব বিশেষ কৃষি পণ্যের মধ্যে রয়েছে, কচুর মূল থেকে শুরু করে চা, হলুদ, ভ্যানিলা, কাউন, এবং কোকোয়া। 

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এ বছরের শুরুতে বাংলাদেশে কাঁঠালের ক্ষুদ্র চাষি ও উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার জন্য একটি প্রকল্প চালু করে। এ বিষয়ে এফএও-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন বলেন, ‘এই আয়োজন বাংলাদেশের জাতীয় ফল সম্পর্কে প্রচার করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ। বিশ্বব্যাপী কাঁঠালের ব্যাপক ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা রয়েছে এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উৎপাদনকারীদের সহায়তা করছে।’ 

কাঁঠাল দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশে প্রচুর পরিমাণে জন্মায় ফলটি। ভারতের পরই বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাঁঠাল উৎপাদনকারী দেশ। দেশের মোট ফল উৎপাদনের এক পঞ্চমাংশেরও বেশি হয় কাঁঠালের উৎপাদন (বার্ষিক উৎপাদনের দিক থেকে আম এক নম্বর ফল)। পুষ্টিকর কাঁঠাল ভিটামিন, খনিজ এবং ক্যালরির একটি ভালো উৎস। এত পুষ্টিগুণ এবং রপ্তানির সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কাঁঠাল এখন পর্যন্ত খুব বেশি সাড়া জাগাতে পারেনি। 

সারা দেশব্যাপী কাঁঠালের চাষ হয়। জাতীয় উৎপাদনের প্রায় এক চতুর্থাংশ ঢাকায় উৎপাদিত হয়। অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কাঁঠাল উৎপাদনকারী জেলাগুলো হলো গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, এবং নরসিংদী। বেশির ভাগ কাঁঠাল ব্যক্তিগত জমিতে চাষ করা হয় এবং নারীরা উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে জড়িত থাকে। 
 
উল্লেখ্য, বিশেষ কৃষি পণ্য বা স্পেশাল এগ্রিকালচারাল প্রোডাক্টস (এসএপি) হলো, ভৌগোলিক অবস্থান এবং কৃষ্টিগত ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত গুণাবলি এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন কৃষি পণ্য। এসব পণ্য অব্যবহৃত সম্পদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ যা খাদ্য নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য নিশ্চিত করতে, এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি কৃষকদের জীবিকা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।

ঢাকাকে ভারতের চোখে দেখার সম্ভাবনা কম

নবীন উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের পাকিস্তান সফর, প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সরানো হলো পরিচালক মনিরুজ্জামানকে

গত বছর ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৬১ শতাংশই নারী: জরিপ

পাঁচ মাসে মাজার-দরগায় ৪৪ হামলা: প্রেস উইং

বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার

লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না হুমায়ুনের

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে মতামত দিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ৬ দিন সময়

সেকশন