হোম > জাতীয়

ত্রিপুরায় বাঁধ খোলার বিষয় নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে: ত্রাণ উপদেষ্টা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম বলেছেন, ‘বন্যাকবলিত মানুষের জীবন রক্ষা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের সঙ্গেও যোগাযোগ চলছে।’ আজ বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় দুর্যোগসচিব কামরুল হাসানসহ মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম বলেন, ‘বন্যায় জনগণের জানমাল রক্ষায় সার্বিকভাবে প্রশাসন কাজ করছে। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। ভারতের অংশে বাঁধ খুলে দেওয়ায় বন্যা হয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় লেখা হলেও, এ ব্যাপারে সরকারিভাবে তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। বিকেলে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন। সেখানে এ বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’ 

ফারুক–ই–আজম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য মানুষের জীবন রক্ষা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা। সেনা, নৌ, কোস্ট গার্ড ও অন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো কাজ করছে। ছাত্ররাও উদ্ধার তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ত্রাণ হিসেবে খাদ্য এবং নগদ অর্থের সর্বাত্মক প্রস্তুতি আছে। যতটুকু সম্ভব আমরা দুর্যোগ পরিস্থিতিতে সব অ্যাফোর্ড নিয়োজিত করেছি। দ্রুত পানি নামলে পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করব।’ 

এটা আকস্মিক বন্যা নাকি পূর্বাভাস ছিল, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা জানতাম না। এটা আকস্মিক একটা...। ফ্ল্যাশ ফ্লাড যেটা বলে। কেউ কেউ বলছে আমাদের ওপারে, ওখান থেকে পানি এসেছে। ভারতীয় অঞ্চল থেকেও পানি নেমে এসেছে। বন্যা যে রকম প্রাকৃতিকভাবে হয়, দ্রুতই হয়েছে। গতকাল সকাল ও বিকেল থেকে দ্রুত পানি এসেছে, যে অনেক উপদ্রুত এলাকায় যাওয়া যাচ্ছে না।’ 

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ লাখ মানুষ, ২ জনের মৃত্যু
চলমান বন্যায় এখন পর্যন্ত দেশের আট জেলার ২৯ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা। 

তিনি বলেন, ‘ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। আট জেলায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৪০টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। মোট ১ হাজার ৫৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন লোক এবং ৭ হাজার ৪৫৯টি গবাদিপশুকে আশ্রয় নিয়েছে।’ 

পানি সম্পদের কন্ট্রোল রুম চালু 
বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহে কন্ট্রোল রুম খুলেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নম্বর–০১৩১৮২৩৪৫৬০। 

সার্বিক বিষয়ে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে মনিটরিং করবেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. রবিউল আলম। তাঁর মোবাইল নম্বর–০১৯৯২৪৩৯৩৪৭। 

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা চলমান বন্যা পরিস্থিতি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলায় স্থাপিত কন্ট্রোল রুম ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে এ বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করবেন।

সব রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির নির্দেশনা

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল

‘জুলাই যোদ্ধা’ শনাক্তে এবার গোয়েন্দা তদন্ত

সচিবালয়ের ১৪ কর্মচারী বরখাস্ত

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে ফের উত্তাপ

সাংবাদিক আনিস আলমগীরের মুক্তি চায় অ্যামনেস্টি

জিয়াউলের বিরুদ্ধে শতাধিক ব্যক্তিকে গুম-খুনের অভিযোগ আমলে নিলেন ট্রাইব্যুনাল

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

৮ ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে অর্ধশত কোটি টাকা লুট