হোম > জাতীয়

জুলাই গণহত্যার বিচার নির্বাচনের আগেই সম্ভব: আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬: ০৯
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, জুলাই গণহত্যার বিচার অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই ট্রায়াল কোর্ট তথা বিচারিক আদালতে এই বিচারকাজ শেষ করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন। প্রধান উপদেষ্টার কাছে চার সংস্কার কমিশনের তরফ থেকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময়, উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আশা প্রকাশ করেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তবায়ন করতে পারবে।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তৎকালীন সরকারের নির্দেশে যেভাবে বিক্ষোভকারীদের হত্যা করা হয়েছে, তার বিচারের প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার সরকারের অগ্রাধিকার। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই ট্রায়াল কোর্ট বা বিচারিক আদালতে এই বিচার সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্কারকে কেন্দ্র করে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে চারটির পক্ষ থেকে আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ছয়টি কমিশনেরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এরপর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ এসব প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, কাজের সুবিধার জন্য ছয়টি কমিশনের কাজের মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হয়েছে। ছয়টি কমিশনেরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রকাশ করা হবে। আজ সন্ধ্যার মধ্যে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সামারি বা সারসংক্ষেপ উন্মুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদন তুলে দেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কমিশনগুলো ওয়েবসাইট খুলে মতামত সংগ্রহ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, মতবিনিময়, জরিপ ও লিখিতভাবে মতামত সংগ্রহ করেছে। সুপারিশমালা প্রস্তুতে এসব প্রস্তাব ও মতামত পর্যালোচনা করা হয়েছে।

নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছিল ৩ অক্টোবর। আর সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছিল ৬ অক্টোবর। এরপর গত ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গঠন করা হয় গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারীবিষয়ক ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। কমিশনগুলোর ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমার কথা থাকলেও প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি কমিশনের মেয়াদ পরে বাড়ানো হয়। এর মধ্যে চার কমিশন আজ প্রতিবেদন দিল।

৪৫০ কোটি টাকা পাচার: শামীম ওসমান ও নানকসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা

সেন্ট মার্টিনে নৌবাহিনীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে: আইএসপিআর

যোগ্য না হলেও পুতুলকে ডব্লিউএইচওর পরিচালক নিয়োগে প্রভাব খাটান হাসিনা, দুদকে অভিযোগ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে সহায়তায় ৮৩ কোটি টাকা ছাড়

সেকশন