প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কানাডার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের মানবাধিকার কমিটির চেয়ার সালমা আতাউল্লাজান। টরন্টোর স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক বৈঠকে সিনেটর কানাডা সফররত তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের কাছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন সিনেটর। ঢাকায় পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
বৈঠকে সিনেটর তাঁর বাংলাদেশ সফরগুলোর কথা উল্লেখ করে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থসামাজিক উন্নয়ন, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ দমন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অর্জনে যে সাফল্য দেখিয়েছে তা অনন্য।
প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দানের জন্যও তিনি শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন এবং শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন।
বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। সিনেটর আতাউল্লাজান মন্ত্রীকে জানান, আগামী বছরের প্রথম ভাগেই তাঁর বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা রয়েছে।
কানাডা পার্লামেন্টের ইমিগ্রেশন ও নাগরিকত্ববিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারপারসন সালমা জাহিদের সঙ্গে পৃথক এক বৈঠক করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বৈঠকে মন্ত্রী বাংলাদেশিদের জন্য কানাডার ভিসা অফিস ঢাকায় স্থানান্তর ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কানাডার স্টুডেন্ট ডিরেক্ট স্ট্রিমে (এসডিএস) অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন।
সালমা জাহিদ এ বিষয়ে তাঁর উদ্যোগের কথা জানিয়ে বলেন, তিনি ইতিমধ্যে এ বিষয়ে কানাডার ইমিগ্রেশন মন্ত্রী ও বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য এ-যাবৎকালের শীর্ষে থাকার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি বাংলাদেশে কানাডীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ‘ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোটেকশন অ্যাগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষরের বিষয়টি এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তাঁরা।
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার খলিলুর রহমান বৈঠক দুটিতে উপস্থিত ছিলেন।