দীর্ঘ আড়াই বছর পর কলকাতার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারে প্রধান অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার ওরফে শিব শংকর হালদার। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিট নাগাদ তিনি কলকাতার আলীপুরের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান।
এদিন কারাগার থেকে বেরোনোর সময় পি কে হালদার বলেন ‘আমি এখন কিছু বলব না। পরে বলব।’ স্থানীয় গণমাধ্যমের কর্মীদের সামনে কার্যত হাতজোড় করে তিনি বলেন ‘আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরে সবকিছু জানাব।’
এরপর কারাগারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সাদা উবার গাড়ি চেপে স্থান ত্যাগ করেন। যদিও এই মুহূর্তে তিনি কোথায় যাচ্ছেন—তা সাংবাদিকদের বলেননি পি কে হালদার।
গত শুক্রবার পি কে হালদারের জামিন মঞ্জুর করে কলকাতার নগর দায়রা আদালত। সে ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে ১০ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁকে জামিন দেন আদালত। সোমবার আদালতে সেই বন্ড জমা পড়ে। এরপর আদালত থেকে সেই কপি প্রেসিডেন্সি কারাগারে যাওয়ার পর গতকাল সন্ধ্যায় তিনি ছাড়া পান।
তবে পি কে হালদারের সঙ্গেই ওই দিন জামিন পান তাঁর অন্য দুই সহযোগী স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মিত্র এবং উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র। গতকাল সন্ধ্যায় পি কে হালদারের সঙ্গে কারাগার থেকে মুক্তি পান উত্তম মৈত্র। তবে নথি ও বন্ড–সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় স্বপন মিত্র কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট’ (ইডি)–এর কর্মকর্তারা।