ভারত শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ, উদ্বেগ ও স্পর্শকাতরতায় গুরুত্ব দিয়ে অংশীদারত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের জাতীয় দিবসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের জনগণকে জাতীয় দিবসে অভিনন্দন জানান নরেন্দ্র মোদি। তিনি বার্তায় বলেন, দুই দেশের ত্যাগ ও ইতিহাসকে ভিত্তি করে যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে উঠছে, সেখানে স্মারক হিসেবে ২৬ মার্চের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।
মোদি বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তার লাভের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণ লাভবান হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আলোকবর্তিকা হয়ে রইবে।
বাংলাদেশের জাতীয় দিবসে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ বুধবার আলাদা বার্তায় যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে পাঠানো বার্তায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ বলেন, ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথমে, ‘পূর্বমুখী সক্রিয়তা’ এবং ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় নীতির কেন্দ্রে আছে বাংলাদেশ। তাই গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
দ্রৌপদী মুর্মূ বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক বহুমুখী। এ ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বহুমাত্রিক যোগাযোগ, উন্নয়ন অংশীদারত্ব, জ্বালানি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও মানুষে-মানুষে আদান-প্রদানের কথা উল্লেখ করেন তিনি।