হোম > জাতীয়

বাংলাদেশে ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ’ বন্ধের দাবি অ্যামনেস্টির

বাংলাদেশে অনলাইনে ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ’ অবশ্যই বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, এই মামলায় ১০ ব্যক্তির মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিখোঁজ হওয়া, নির্বিচারে আটকে রাখা এবং নির্যাতনের তথ্য বিশ্লেষণ করে সংস্থাটির এক ব্রিফিংয়ে এ দাবি জানানো হয়। 

‘বাংলাদেশ: ভিন্নমতের কোনো স্থান নেই—অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অভিযান’ শিরোনামে ২৫ জুলাই ২৪ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) করা মামলায় বাংলাদেশে অন্তত ৪৩৩ জন কারাগারে রয়েছেন। সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট, গায়ক, অ্যাকটিভিস্ট, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী এমনকি লেখাপড়া না জানা এক কৃষকেও এ আইনে টার্গেট করা হয়েছে। বিচার বিহীনভাবে ১০ মাস কারাগারে নির্যাতনের পর হার্ট অ্যাটাকে কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। অথচ, মুশতাকের এক মিনিটও জেল খাটার কথা ছিল না বলে মনে করে অ্যামনেস্টি। 

এ আইন প্রসঙ্গে বলা হয়, অনলাইনে একটি মন্তব্যের কারণেও যে কোনো স্থানে অভিযান, ইলেকট্রনিক ডিভাইস জব্দ এবং ওয়ারেন্ট ছাড়াই আটকের মতো নির্বিচার ক্ষমতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক মাধ্যম, ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভিন্নমত দমনের জন্য এ আইন ব্যবহৃত হয়ে আসছে; সর্বোচ্চ শাস্তি রাখা হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। অনলাইনে ভুয়া, আক্রমণাত্মক, অবমাননাকর ও মানহানিকর বক্তব্য ছড়িয়েছেন এমন অজুহাতে এ আইনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ মূলত সমালোচনাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করছেন। যা ইন্টারন্যাশনাল কভেনেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস (আইসিসিপিআর) নির্ধারিত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন। 

গতকালের ব্রিফিংয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো কিছুর প্রতিবাদ করা বা ভিন্নমত পোষণ করাটা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এ বিধিনিষেধ বাংলাদেশের সর্বস্তরে ভয়ের বার্তা ছড়িয়েছে, স্বাধীন মিডিয়া ও সুশীল সমাজকে সংকুচিত করেছে। এ ধরনের আইনকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে ২০১৮ সালের মে মাসে ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ চলাকালীন জাতিসংঘের দেওয়া নির্দেশনা মেনে চলার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন হাম্মাদি। 

এমন পরিস্থিতিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল বা আন্তর্জাতিক মান ও মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধনের আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে শুধুমাত্র মতপ্রকাশের অধিকার চর্চার কারণে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ যাদের বন্দী করেছে তাদের অবশ্যই মুক্তি দেওয়ার দাবিও জানায় সংস্থাটি। 

সাংবাদিক আনিস আলমগীরের মুক্তি চায় অ্যামনেস্টি

জিয়াউলের বিরুদ্ধে শতাধিক ব্যক্তিকে গুম-খুনের অভিযোগ আমলে নিলেন ট্রাইব্যুনাল

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

৮ ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে অর্ধশতকোটি টাকা লুট

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি

সৌদি আরবে বিনা অনুমতিতে রাজনৈতিক সভা করায় কয়েকজন বাংলাদেশি আটক, সতর্ক করল দূতাবাস

নিজের বিচার সরাসরি সম্প্রচার চান হাসানুল হক ইনু

২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে অমর একুশে বইমেলা

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে ভারতের ‘নসিহত’ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা