চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে এবং এসব মামলায় ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টকে এ তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন—অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন। তাঁরা বলেন, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।
গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে স্বপ্রণোদিত হয়ে ইসকন নিষিদ্ধ ও তিন জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করতে আদেশ চান আইনজীবী মনির উদ্দিন। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আদালতকে বলেন, সরকার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে। এ বিষয়ে আদালতের আদেশ দেওয়া ঠিক হবে না। পরে আজ সকালের মধ্যে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ জানাতে বলেন হাইকোর্ট। নির্দেশ অনুযায়ী আজ বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতকে অবহিত করা হয়।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাঁর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ উঠেছে, ওই সময় সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন ইসকন সদস্যরা।