উত্তরা-বিমানবন্দর প্রতিবেদক
সিনোফার্মের টিকা জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে এবং মডার্নার টিকা সিটি করপোরেশনে প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর (এমএনসিএএইচ) মো. শামসুল হক। শনিবার দিবাগত রাতে চীন থেকে সিনোফার্মের ১০ লাখ ডোজ টিকা আসার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার গেটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। পরে রাত ৩টার দিকে চীন থেকে আরও ১০ লাখ সিনোফার্মের টিকা এসে পৌঁছায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর (এমএনসিএএইচ) মো. শামসুল হক বলেন, ‘সিনোফার্মের করোনা ভ্যাকসিন এয়ারপোর্ট থেকে ট্রাকে লোড করে স্টোরে চলে যাচ্ছে। সামনে আমাদের আরও ভ্যাকসিন আসবে। যখনই আমাদের কাছে ভ্যাকসিন আসার তথ্য আসবে, আমরা আপনাদের জানাব।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা ৫১ লাখ ডোজ চীনের সিনোফার্মের টিকা পেয়েছি। যার মধ্যে ১১ লাখ উপহারস্বরূপ এবং ৪০ লাখ ডোজ কেনা।’
এসব টিকা কারা পাবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, সারা দেশের জেলা–উপজেলায় টিকা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। প্রত্যেক জায়গায় প্রচুর পরিমাণ মানুষ টিকা নিচ্ছেন।
সোমবার মডার্নার ২৫ লাখ টিকা আসার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শামসুল হক বলেন, ‘একটা ভ্যাকসিন আসার কথা রয়েছে। কিন্তু তথ্যগুলো এখনো আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। তথ্যগুলো পেয়ে গেলে আপনাদের মিডিয়াকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে সোমবার আসবে বলে আমরা জেনেছি। কিন্তু কনফার্মেশন লেটার এখনো আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি।’
চীন থেকে আসা সিনোফার্মের টিকা কোথায় রাখা হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এসব ভ্যাকসিন বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউসে কন্টাক্ট করে নিয়ে রাখা হয়েছে। আপনারা জানেন আমাদের সিনোফার্মের ভ্যাকসিনটা দুই ডোজের ভায়াল। এতে অনেক বেশি জায়গা লাগে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা দশ ডোজের, ফাইজার ছয় ডোজের ও মডার্না দশ ডোজের ভায়াল। যার কারণে এসব ভ্যাকসিন রাখতে কম জায়গা লাগে। কিন্তু সিনোফার্মের টিকার জন্য আমাদের আরও কিছু ক্যাপাসিটি ডেভেলপ করতে হয়েছে। আমরা সেভাবে তৈরিও হয়েছি।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ‘যেমন বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউস চিহ্নিত করে সরকারের পক্ষ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ঠিক তেমনি ইনসেপ্টার ওয়্যারহাউস ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাদের সঙ্গে ও আমাদের কথাবার্তা হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে আরও একটি ওয়্যারহাউস ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
শামসুল হক আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের সক্ষমতা সবটুকুই বাড়িয়ে রাখার চেষ্টা করছি। যেন যতগুলো ভ্যাকসিনই আসুক না কেন আমরা সেগুলো রাখতে পারি। এ বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। বর্তমানে যে রকম ভ্যাকসিন আসার ফ্লো রয়েছে তা রাখার সক্ষমতা আমরা তৈরি করেছি।’
এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (জনস্বাস্থ্য) অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মুজিবুল হক, জনস্বাস্থ্য-২–এর উপসচিব মু. জসিম উদ্দিন খান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার (এপিআই) ডা. মাওলা বক্সসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।