নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মেডিকেল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন ব্যাচেলর অব সার্জারির (এমবিবিএস) ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এমন মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, কোটা বাতিলের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আদালত থেকে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেখানে মূল পরিবর্তন হলো নাতি-নাতনির পরিবর্তে পরবর্তী প্রজন্মের বদলে সন্তান বলা হয়েছে। অতএব কোটার বিষয়টিতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে এটা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাও প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী হয়েছে। তারপরও এটা স্ক্রুটিনি করা হবে।’
বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান বলেন, ‘এই ১৯৩ জনের মধ্যে খুবই আনইউজুয়াল হবে যাদের বয়স ৬৭-৬৮ এবং যাদের সন্তান থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। সেখানে যদি কোনো ত্রুটি ধরা পড়ে, তাহলে সেটা দেখা হবে। এমবিবিএস পরীক্ষায় মূল কোটা থাকবে কি থাকবে না, এই নীতিগত সিদ্ধান্তটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয়, এটি রাষ্ট্রের। আগামী ২৭,২৮ ও ২৯ জানুয়ারি যাচাই করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের বিষয়ে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন।