বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ)। এইচআরডব্লিউয়ের এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার বাস। শিবিরগুলোর নিরাপত্তায় রয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা এপিবিএনের ক্যাম্প। গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এইচআরডব্লিউ অভিযোগ করেছে, এপিবিএন সদস্যরা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছেন।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, তাদের (এইচআরডব্লিউ) আরও বেশি দেখে এসে প্রতিবেদন করা উচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলছি, তারা (রোহিঙ্গা) কোনো একসময় আমাদের জন্য একটা বিষফোড়ার মতো হবে। কারণ, এই রোহিঙ্গারা তাদের সবকিছু ফেলে এখানে এসেছে। প্রলোভনে পড়ে তারা যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে পারে। রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের ভেতরে ইয়াবার ব্যবসা করে, নিজেরা নিজেরা গোলাগুলি-মারামারি করছে। গতকালও তুমব্রু সীমান্তে তাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের ভেতরে ইয়াবার ব্যবসা করে।
গোলাগুলি-মারামারি করে। প্রতিদিন তারা মারামারি করে। তুমব্রুতে আমাদের ডিজিএফআইয়ের একজন কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। গতকালও বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিভিন্ন গ্রুপ ও সাব গ্রুপে বিভক্ত হয়ে রোহিঙ্গারা প্রতিদিন অপরাধ করছে। আমরা কাঁটাতারের বেষ্টনী দিয়েছিলাম। সেই বেষ্টনী কেটে বেরিয়ে তারা মিয়ানমারে যাচ্ছে এবং সেখান থেকে ইয়াবা নিয়ে আসছে। এগুলো প্রতিনিয়ত ঘটছে। কাজেই সেখানে পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র পুলিশ এপিবিএনকেও দেওয়া হয়েছে। কারণ, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনেক রক্তপাত হচ্ছে। এপিবিএন সেখানে রেগুলার রুটিন ওয়ার্ক করছে। এই বাহিনীর বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যেসব কথা বলেছে, আমার মনে হয় তা তথ্যভিত্তিক নয়।’