সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে দেশের সব অস্থিরতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার স্থপতি উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন উপদেষ্টা ও আইনসচিবকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ আজ রোববার নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান অপ্রাসঙ্গিক ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। তাঁর অবসরে যাওয়ার ১৬ মাস পর রায় প্রকাশ করা হয়। এই রায় বাংলাদেশে কুৎসিত সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে।
খায়রুল হক বাংলাদেশের সব অস্থিরতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার স্থপতি। তিনি শুধু সংবিধানই লঙ্ঘন করেননি, বরং সব ঘৃণার বিষবৃক্ষ, দুর্নীতি ও বর্বরতা রোপণ করেছেন। তিনি সব প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের মনোবল হ্রাস, বিচার বিভাগকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও পক্ষপাতদুষ্টে পরিণত করেন।
অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে নৈতিক দুর্নীতি, অসদাচরণ এবং সাবেক সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয় নোটিশে।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা বিশ্বাস করি এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের রক্তপাতের মধ্য দিয়ে আসা অন্তবর্তীকালীন সরকার সেই ব্যক্তির (খায়রুল হক) বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে, যিনি বাংলাদেশকে ধ্বংস করার এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের পুরো ষড়যন্ত্রের স্থপতি ছিলেন।’
প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসরের পর ২০১৩ সালের জুলাই মাসে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয় খায়রুল হককে। এর পর থেকে কয়েক দফায় তাঁকে ওই পদে নিয়োগ দেয় সরকার। তবে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহে কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন খায়রুল হক।