Ajker Patrika
হোম > জাতীয়

পুরো আসনের নির্বাচন বাতিলের সুযোগ থাকছে না ইসির 

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

পুরো আসনের নির্বাচন বাতিলের সুযোগ থাকছে না ইসির 

রিটার্নিং অফিসারের যেকোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আপিল করা যাবে—এমন বিধান রেখে জনপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, অনিয়ম বা কোনো কারণে এক বা একাধিক কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন থাকলে, পুরো নির্বাচন বাতিলের সুযোগ থাকবে না। নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ ওই কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করতে পারবে। 

আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। 

মাহবুব হোসেন বলেন, বিদ্যমান আইনে মনোনয়নপত্র যখন জমা দেওয়া হয়, তখন তা বাতিল হলে আপিল করতে পারতেন প্রার্থী। এখন থেকে রিটার্নিং অফিসারের যেকোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আপিল করা যাবে। অর্থাৎ যার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়েছে, তাঁর প্রতিপক্ষও তাঁর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। 

সংশোধনীর প্রধান বিষয়গুলো তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যদি কারও ব্যাংকের পাওনা থাকে বা ঋণ পরিশোধের অসুবিধা থাকে কিংবা কোনো বিল পরিশোধের প্রসঙ্গ থাকে তাহলে মনোনয়নপত্র গ্রহণের সাত দিন আগে ক্লিয়ার হওয়ার কথা ছিল। এখন আইনটি করা হয়েছে যে দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত তাঁর বিল পরিশোধ হয় বা ঋণ পরিশোধ হয় তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন তাঁর টিআইএন এবং ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিয়েছেন, তার কপি জমা দিতে হবে। একমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ছাড়া সব নির্বাচনে এই প্রভিশন আছে। আমাদের সংসদ নির্বাচনে এটি ছিল না, সেটি এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’ 

সচিব আরও বলেন, সংশোধিত আইনে একটি নতুন ধারা যোগ করা হয়েছে। সে ধারা অনুযায়ী, মিডিয়াকর্মীদের ওপর হামলা হলে, শাস্তির আওতায় আনা হবে। এর আগে গত ২৮ মার্চ আইনটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৬৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। মন্ত্রিসভা-বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২০২৩ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক (জানুয়ারি-মার্চ) প্রতিবেদন অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তিনি জানান, সরকারের ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে (১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত) মন্ত্রিসভার ছয়টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত ৫৪টি। বাস্তবায়িত সিদ্ধান্ত ৩৫টি (৬৪ দশমিক ৮১ শতাংশ)। বাস্তবায়নাধীন সিদ্ধান্ত ১৯টি (৩৫ দশমিক ১৯ শতাংশ)। এ সময়ে অনুমোদিত নীতি/কর্মকৌশল দুটি। অনুমোদিত চুক্তি/প্রটোকল দুটি। সংসদে পাস হওয়া আইন ১০টি।

জুলাইয়ে শান্তিমিশন নিয়ে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলেন জাতিসংঘের ফলকার তুর্ক

ফেরত পাঠাতে ৫০০ বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

গ্রামীণ ব্যাংকে কমছে সরকারের কর্তৃত্ব

স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন বদরুদ্দীন উমর

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদক পেলেন সেনাপ্রধান

ভ্রমণ কর জালিয়াতি, বেনাপোল বন্দরে আটক ৬ ভারতীয়

নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন হচ্ছে: শ্রম উপদেষ্টা

এবার স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন যারা

এনআইডির তথ্য ফাঁসের মামলায় সাবেক সচিব জিয়াউল ২ দিনের রিমান্ডে

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক শুরু