হোম > জাতীয়

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে যে কর্মসূচি নিল সরকার

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপিত হবে। জাতিসংঘ বিশ্বপর্যটন সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত এবছরের প্রতিপাদ্য ‘পর্যটন শান্তির সোপান’। 

এ বছর দিবসটি উদযাপন করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, অধীন দপ্তর-সংস্থাসমূহ, ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবন থেকে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হবে। একই দিন সকাল ৯টায় পর্যটন ভবনের ‘শৈলপ্রপাত হলে’ দিবসের প্রতিপাদ্য’র ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। হোটেল-মোটেল-রেস্তোরাঁসমূহ এ উপলক্ষ্যে বিশেষ ডিসকাউন্ট ঘোষণা করেছে। পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে ‘লাইভ কুকিং শো’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনন্স টিকেটে বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছে। 

এ ছাড়া শিশুদের মাঝে পর্যটনের সৌরভ ছড়িয়ে দেবার লক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় শিশুদের নিয়ে পর্যটনকেন্দ্রিক চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। 

পর্যটন দিবস উপলক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান জানান, দিবসটি উপলক্ষে সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং গণমাধ্যমে বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন অব্যাহত আছে।

সচিব বলেন, পর্যটন শিল্প পৃথিবীর একক বৃহত্তম শিল্প হিসেবে স্বীকৃত। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে পর্যটন এখন অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার খাত। ১৯৫০ সালে পৃথিবীতে পর্যটকের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫ মিলিয়ন; যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২৭০ মিলিয়নে। 

ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর প্রায় ১৩৯ কোটি ৫৬ লাখ ৬০ হাজার পর্যটক সারা পৃথিবী ভ্রমণ করবেন। অর্থাৎ বিগত ৬৭ বছরে পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ৫০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটকের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিধি ব্যাপকতা লাভ করেছে। পর্যটনের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়ে থাকে। 

তিনি বলেন, দেশের মোট জিডিপির শতকরা ৩.০২ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২-এ পর্যটনশিল্পের ১২টি উপখাতের উল্লেখ রয়েছে যেখানে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ ও সংকট কাটিয়ে পর্যটন শিল্পে নতুন উদ্যোগ ও ভাবনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নতুন আঙ্গিকে কাজ করছি আমরা। 

ধীর গতিতে হলেও বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অগ্রগতি হচ্ছে। পর্যটন শিল্পের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নীতিমালা হালনাগাদকরণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। 

ট্যুরিজম মাস্টার প্ল্যান চূড়ান্তকরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। অনুমোদন এবং তার আলোকে অগ্রাধিকার নির্ণয় করে বিনিয়োগের মাধ্যমে পর্যটন খাতে দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি।

নবীন উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের পাকিস্তান সফর, প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সরানো হলো পরিচালক মনিরুজ্জামানকে

গত বছর ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৬১ শতাংশই নারী: জরিপ

পাঁচ মাসে মাজার-দরগায় ৪৪ হামলা: প্রেস উইং

বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার

লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না হুমায়ুনের

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে মতামত দিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ৬ দিন সময়

সস্তায় বিক্রি হচ্ছে শৈশব

সেকশন