হোম > জাতীয়

জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ের হিড়িক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যানদের জয় দেশজুড়ে নানা সমালোচনার জন্ম দেয়। বিনা ভোটে জয় ভোট ব্যবস্থাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। এ সব সমালোচনার মধ্যেই আগামী মাসে জেলা পরিষদের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনেও বিনা ভোটে জয়ের হিড়িক পড়েছে।

দেশের ৬১ জেলার অন্তত ২২টিতে পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ভোট দিতে হবে না ভোটারদের। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২২ জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। জয়ীরা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই প্রার্থী। দেশের বিভিন্ন স্থানের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাঠানো তথ্যে এ বিষয়টি জানানো হয়। এভাবে বিনা ভোটে জয়ের বিষয়টি আবারও সামনে আসায় বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটা কোনো নির্বাচন নয়।

গতকাল ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, বরগুনা, বাগেরহাট, ভোলা, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন।

এর বাইরে গতকাল শেষ বেলায় ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিনা ভোটে জয়ের খবর জানা যায়। ঢাকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাওয়া দুই প্রার্থী শেষ সময়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে মাহবুবুর রহমান এককভাবে জয়ী হন। এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে আসীন হচ্ছেন। বিজয়ী হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।’

ঢাকা জেলার বিষয়ে ইসির কোনো তথ্য না থাকায় তা তারা জানাতে পারেনি। ইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশাদুল হক এ কথা জানান। ঢাকায় বিনা ভোটে জয়ের দৌড়ে দুজন সাধারণ সদস্যও রয়েছেন। এরা হলেন নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার দুই প্রার্থী।

ইসি আরও জানায়, চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১৬২ জন, বাছাই শেষে বৈধ হয়েছে ১৪২টি। সাধারণ সদস্য পদে ১ হাজার ৯৮৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন, এদের মধ্যে বৈধ হয়েছে ১ হাজার ৭৪২টি। আর সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৭১৫ জন, যাদের মধ্যে বৈধ হয়েছে ৬৭৩।  

গতকাল ছিল মনোনয়ন বাছাইয়ের শেষ দিন। গাজীপুর জেলায় তিন পদে ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন, কৃষক লীগের মোতাহার হোসেন মোল্লা। তিনি এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। এ ছাড়া এস এম মোকসেদ আলম ও মো. শামসুদ্দীন খন্দকারের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। নোয়াখালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাবক্স তাহের টিটুসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।  

গতকাল নাটোরে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুন্নবী মৃধাকে কৌশলে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী রায়হান শেখের পক্ষের লোকজন বিভিন্ন কৌশলে জাপা প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে ক্ষমতাসীনদের একক প্রার্থী রাখার পথ বের করেন।

এদিকে বিনা ভোটের এই প্রক্রিয়াকে কোনোভাবে নির্বাচন বলতে রাজি নন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো নির্বাচন নয়। এভাবে নির্বাচন হয় না। এটাকে নির্বাচনের নামে অন্য কিছু বলতে হবে।’

(প্রতিবেদনটি তৈরিতে আমাদের বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধিরা সহযোগিতা করেছেন

লিবিয়ায় ভূমধ্যসাগর উপকূলে কয়েকজন অভিবাসীর লাশ, বাংলাদেশি থাকার আশঙ্কা

বদলি ঠেকাতে আদালতে মাদক নিয়ন্ত্রণের এডি

অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে টাস্কফোর্স

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ভাবনা

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে চাপে আছে সরকার: আইসিজির প্রতিবেদন

প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহির জন্য আস্থা ভোটের সুপারিশ

জনগণের সুরক্ষা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব: পরিবেশ উপদেষ্টা

নারী সাংবাদিককে প্রবেশে বাধা দেওয়ার বিষয়ে যা বলল ধর্ম মন্ত্রণালয়

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা: গ্রেপ্তার নিয়ে পুলিশের অসহযোগিতায় ট্রাইব্যুনালের অসন্তোষ

বাংলাদেশে সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি জাপানের

সেকশন