দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বার্তা দিয়েছে বলে দিল্লি ও কলকাতা থেকে যে খবর বেরিয়েছে, সে বিষয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভারত যদি নিজের স্বার্থ এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য কিছু বলে, তা অবশ্যই এই অঞ্চলের উপকারে আসবে।
ডয়চে ভেলে দিল্লি থেকে শুক্রবার করা এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার দুর্বল হয়ে পড়লে ভূরাজনৈতিক দিক থেকে তা ভারত ও আমেরিকা কারও জন্য সুখবর হবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য ভারতের কূটনৈতিক বার্তার বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, ভারত সরকার অত্যন্ত পরিপক্ব। তারা একটি গণতান্ত্রিক দেশ। তারা যেটা ভালো মনে করে সেটাই করেছে। এ সম্পর্কে কোনো কিছু বলার নেই।
বিরোধী দল বিএনপি ভারতের ওই কূটনৈতিক বার্তার খবরের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যদি ভারত কোনো পদক্ষেপ নেয়, সেটা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে দলটি। এ-সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা তাঁকে (খালেদা) দেওয়া হচ্ছে। কোনো দেশ বন্দীকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে থাকে, এমন নজির থাকলে তখন সরকার খালেদার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টিকে স্বাগত জানাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।