নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় কিশোর হৃদয় আহম্মেদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
বিকেলে আগরওয়ালকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই মো. সাদেক আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে আগরওয়ালার পক্ষে আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আগরওয়ালাকে রাজধানীর গুলশানের আকাশ টাওয়ার থেকে আটক করা হয়। পরে এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
আগরওয়ালাকে আটক করার পর পুলিশ জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান, ডায়মন্ডের ব্যবসা নিয়ে প্রতারণা, কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু হত্যা মামলায় নাম থাকায় তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বেলা ২টার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয় কিশোর হৃদয় আহম্মেদ (১৬)। বাড্ডার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থানকালে গুলিতে গুরুতর আহত হয় হৃদয়। আরও অনেকে তখন গুরুতর আহত হয়। আহতদের আফতাবনগর নাগরিক স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে সন্ধ্যায় হৃদয়ের লাশ শনাক্ত করা হয়। পরে তার লাশ মাদারীপুর শিবচরের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় আন্দোলনের সময় হৃদয়ের সঙ্গে থাকা শাহাদত হোসেন নামে এক ব্যক্তি গত ২২ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ ১৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ৪০০-৫০০ জনকে।