অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশে শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা নিয়ে ভারতের সঙ্গে যুগপৎভাবে কাজ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা করছে দেশটি।
গতকাল বুধবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এ তথ্য জানান।
এ সময় উপস্থিত এক সাংবাদিক শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার নিয়ে প্রশ্ন করেন তাকে।
উত্তরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ‘এই ইস্যুতে আমি এখন বিস্তারিত কিংবা ব্যক্তিগত কূটনৈতিক আলোচনায় যাব না। আমরা চাই, বাংলাদেশে যাবতীয় সহিংসতার অবসান এবং জবাবদিহিতা ও আইনের শাসন নিশ্চিত হোক। আমরা আমাদের ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। বাংলাদেশ ইস্যুতে আমাদের কথা হচ্ছে। এ ছাড়া ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও আমরা কথা বলছি।’
শিক্ষার্থী-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে টিকতে না পেরে গত ৫ জুলাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা, আশ্রয় নেন ভারতে। বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন তিনি।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর ইতোমধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে; বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
ভারপ্রাপ্ত সরকারের প্রধান হওয়ার পর একাধিকবার দেশের জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ড. মুহম্মদ ইউনূস। ব্রিফিংয়ে মুহম্মদ ইউনূসের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বেদান্ত বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান সরকার নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মনযোগ দিয়েছে এবং আমরা একে স্বাগত জানাচ্ছি।’