নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মুদিদোকানি আবু সায়েদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে চার দিন ও সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুপুরের পর দুজনকে আদালতে হাজির করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অপরদিকে তাদের পক্ষে একজন আইনজীবী মৌখিকভাবে রিমান্ড বাতিল চান। শুনানি শেষে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার আদালতের মোহাম্মদপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই হেলাল উদ্দিন রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে দীপু মনি ও জয়কে আদালতে আনার সময় এবং বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় উৎসুক জনতা ও আইনজীবীদের অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। তাঁদের অনেকেই ছিলেন মারমুখী। তাঁরা হামলার চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘উচ্ছৃঙ্খল কিছু আইনজীবী দীপু মনি ও জয়কে পুলিশ প্রহরার মধ্যেই কিলঘুসি মারতে থাকেন। একই সঙ্গে খুনি, খুনি বলে চিৎকার করতে থাকেন এবং ফাঁসির দাবিতে মিছিল করেন।’
গতকাল সোমবার ডা. দীপু মনিকে রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে ও ধানমন্ডি এলাকা থেকে আরিফ খানকে আটক করা হয়। এরপর এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
১৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন এস এম আমির হামজা শীতল নামের এক ব্যবসায়ী। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে এবং অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা রুজু হয়।
ডা. দীপু মনি ও আরিফ খান জয়ের নাম এ মামলার এজাহারে নেই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেছেন, মামলার ঘটনার তারিখের সহিংসতা ও ভিকটিমের নিহত হওয়ার বিষয়ে দীপু মনি এবং জয় অবগত আছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার রহস্য, এর পেছনে যারা জড়িত, তাদের সম্পর্কে তথ্য উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন।