অনলাইন ডেস্ক
ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে এখন কোনো হাইকমিশনার নেই। শূন্যস্থান পূরণে বাংলাদেশ নতুন হাইকমিশনার পাঠাতে চায় নয়াদিল্লিতে। এই বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভারতে নতুন হাইকমিশনার নিয়োগের বিষয়ে ভারত সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের (অ্যাগ্রিমো বা নিয়োগ প্রস্তাব) জন্য পাঠানো অনুরোধের জবাবের অপেক্ষায় আছে ঢাকা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে নয়াদিল্লিতে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন মো. নূরাল ইসলাম।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ভারতের জবাবের অপেক্ষা করছি। এটি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছে বলে আমি মনে করি না। যদিও নির্ধারিত কোনো সময়সীমা নেই, সাধারণত তিন থেকে চার মাস সময় লাগে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন কি না—এমন প্রশ্নে মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘সরকারের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনার স্ট্যাটাস সম্পর্কিত বিষয়টি ভারতের সরকারের ওপর নির্ভর করে।’
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় চুক্তি নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, সংশ্লিষ্ট সব নথি ইতিমধ্যে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে, শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ইঙ্গিত করে অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি জানিয়েছে, কারও পাসপোর্ট বাতিল হলে ভিসা বিষয়টি আর প্রাসঙ্গিক থাকে না। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অধিদপ্তর ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে, যার মধ্যে শেখ হাসিনার পাসপোর্টও রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ড এবং গুমের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৭৭ বছর বয়সী হাসিনা গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতের কাছে পাঠানো এক কূটনৈতিক চিঠির (নোট ভারবাল) বিষয়ে এখনো কোনো জবাব পায়নি ঢাকা।