হোম > জাতীয়

জনপরিসরে যৌন হয়রানির শিকার ৪৩% নারী: জরিপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাস্তায় পিছু নেওয়া এবং অশালীন মন্তব্যের শিকার হওয়ার মতো ঘটনার সম্মুখীন হয়েই নারীরা সবচেয়ে বেশি যৌন হয়রানির শিকার হন বলে এক জরিপ গবেষণায় উঠে এসেছে। এর আওতায় যারা ছিলেন, তাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ গণপরিবহন ও জনসমাগমে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

নারী ও কন্যা শিশুদের প্রতি যৌন সহিংসতা ও তরুণ প্রজন্মের সম্পৃক্ততা নিয়ে পরিচালিত এই জরিপ গবেষণার ফল আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

মহিলা পরিষদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত গবেষণার ফল তুলে ধরেন বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান।

এতে দেখা যায়, জরিপের আওতায় থাকা ৩৮৪ জন নারী-পুরুষের মধ্যে ১৬৬ জন নারী ও ১১ জন পুরুষ গণপরিবহন ও জনসমাগমে যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন। অর্থাৎ ৪৩ শতাংশের বেশি নারী যৌন হয়রানির শিকার হন।

অন্যদিকে নারীর শরীরকে উদ্দেশ্য করে কৌতুক বা এই জাতীয় মন্তব্য তেমন ক্ষতিকারক কোনো বিষয় নয় বলে মত দিয়েছেন জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ। 

দেশে নারীদের যৌন নিপীড়ন বা অসদাচরণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা ‘অত্যন্ত বেশি’ বলে জরিপের আওতায় থাকা ৯৫ দশমিক ৩ শতাংশ নারী অভিমত দিয়েছেন। ৯২ দশমিক ২ শতাংশ উত্তরদাতাদের তাঁদের অন্তত একজন বন্ধু বা পরিচিতজন কোনো ধরনের যৌন নিপীড়ন বা অসদাচরণের সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮২ দশমিক ৩ শতাংশ মনে করেন, যুব জনগোষ্ঠীর যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার প্রবণতা বেশি এবং ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ মনে করেন, যৌন সহিংসতায় যুব জনগোষ্ঠীর অপরাধী হওয়ার প্রবণতা বেশি।

গবেষণাপত্রে বলা হয়, রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার—এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটিই ধর্ষণের ঘটনার পেছনে অবদানকারী শক্তি হিসেবে কাজ করে। আর্থ-সামাজিক পটভূমি এবং অপরাধীদের পারিবারিক অবস্থা, অপরাধীদের অতীতে অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং উপযুক্ত শাস্তির অনুপস্থিতি একজন ধর্ষক হওয়ার পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। 

গবেষণার ভিত্তিতে মহিলা পরিষদ ও গবেষণাকারীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে ওয়ান-স্টপ কেন্দ্রগুলো সম্প্রসারণ, ধর্ষণের বিচারের সঙ্গে জড়িতদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা, গ্রাম্য সালিসের মনোভাব বাদ দিয়ে ভিকটিম ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া ইত্যাদি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, ‘অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে মামলা বন্ধ করার জন্য রাজনৈতিকভাবে কিংবা সামাজিকভাবে ক্ষমতাশীল ব্যক্তি চাপ দেন। বাধ্য করেন ঘটনা অন্য দিকে ধাবিত করার জন্য। ভিকটিমকে দোষারোপ করা, তাঁর পরিবারকে কথা শোনানো আমাদের কালচারের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিএনএ রিপোর্ট সময় মতো না আসা, অফিসার বদলে যাওয়া এগুলোর কারণেও তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি।’

সাংবাদিক আনিস আলমগীরের মুক্তি চায় অ্যামনেস্টি

জিয়াউলের বিরুদ্ধে শতাধিক ব্যক্তিকে গুম-খুনের অভিযোগ আমলে নিলেন ট্রাইব্যুনাল

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

৮ ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে অর্ধশতকোটি টাকা লুট

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি

সৌদি আরবে বিনা অনুমতিতে রাজনৈতিক সভা করায় কয়েকজন বাংলাদেশি আটক, সতর্ক করল দূতাবাস

নিজের বিচার সরাসরি সম্প্রচার চান হাসানুল হক ইনু

২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে অমর একুশে বইমেলা

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে ভারতের ‘নসিহত’ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা